মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীর চাপ কমেছে।
মঙ্গলবার শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১২টি ফেরি চলার কারণে যাত্রীরা সহজে ফেরিতে করে পদ্মা পাড়ি দিতে পারছেন। গত তিনদিনের তুলনায় যাত্রীর চাপ অনেক কম রয়েছে।
জানা যায়, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ার ফেরিঘাটে। তবে ফেরি স্বাভাবিক নিয়মে চললে সে চাপ কমে যায়।
সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ১৭টি ফেরি ছেড়ে যায় বাংলাবাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে। শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করে সব ফেরি দিয়ে যাত্রী এবং যানবাহন পারাপার করছে, এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কমেছে। এখন আর লাশবাহী বা অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অপেক্ষা না করে পণ্যবাহী গাড়িসহ ফেরি ছেড়ে দিচ্ছে আর ঈদে ঘরমুখো মানুষ তো রয়েছেই।
ঘাটে ফেরি দেখা মাত্রই হাজার হাজার যাত্রী হুরমুড়িয়ে ছুটে যায় সে ফেরিতে। মুহূর্তে ভরে যায় ফেরি। এ দৃশ্য সোমবার রাত থেকেই। যানবাহন নিয়ে ঘাট এলাকায় আসতে না পারলেও দীর্ঘ পথ পায়ে হেটে হাজার হাজার মানুষ আসতে থাকে শিমুলিয়া ঘাটে।
এদিকে সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করে কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যা পর্যন্ত মোট ১২টি ফেরি শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে বলে মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ হিলাল উদ্দিন জানান, বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে ফেরি স্বাভাবিকভাবে চালু করা হয়। এ সময় কোনো ছোট গাড়ি ছিল না। সব পণ্যবাহী যানবাহন পার করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে তাদের বহরে থাকা সব ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করছেন তারা। প্রতিটি ফেরিতে যাত্রীও পার হচ্ছেন।
সকাল থেকে ১১টি ফেরি শিমুলিয়া ঘাট ছেড়ে গেছে।
সোমবার রাতভর ফেরি চলাচল করেছে, এতে ঘাটের যানবাহন এবং যাত্রীদের চাপ অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। ঘাট এলাকায় এখনও কিছু যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে, এখন সেগুলো পারাপার করা হচ্ছে।