গাজীপুরের টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় ঈদের ছুটি বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভের সময় সংঘর্ষে পুলিশসহ ২৭ জন আহত হয়েছেন।

সরকারি নির্ধারিত ৩ দিনের ঈদের ছুটি ১০ দিন করার দাবিতে সোমবার বেলা ১১টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।

এ সময় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ বাধা দিলে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে কর্মকর্তাসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়লে বেশ কয়েকজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন বলে জানা গেছে।

আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এডিশনাল এসপি জালাল হাওলাদার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এএসপি এস আলম, সিটিএসবি পুলিশের এসআই রুবেল, সিটিএসবি পুলিশের এসআই কামাল হোসেন, পুলিশের এসআই লিটন, কনস্টেবল এনামুল হোসেনসহ ৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।

আহতরা শ্রমিকরা হলেন, হাসান মিয়া (২৬), রাজীবুল ইসলাম (২৬), মামুন মিয়া (২৭), রবি (২১), লতিফ (১৯), ইমরান (১৯), রুবেল (২৪), রুবেল (২২), রনি (২২), এহসানুল হক (৩৫), রাজিবুল (২৬), কলি বেগম (২৪), নিজাম উদ্দিন (৩০), সমলা (২৫), ইয়াসিন (২০), হাসিনা (৪০), সাব্বির (২২), সাবিনা (২৫), রিনা বেগম (২০)।

গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও শ্রমিকরা জানায়, সকালে কারখানার শ্রমিকরা ঈদের ছুটি বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি করে কারখানার ভিতরে বিক্ষোভ করে। পরবর্তীতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে কারখানার শ্রমিকরা পুলিশের সঙ্গে ক্ষিপ্ত হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পুলিশ শ্রমিকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ায় ৮ জন পুলিশ সদস্য ও ১৯ জন শ্রমিক আহত হয়।

শ্রমিকরা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। আহত শ্রমিকদের টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। গুরুতর আহত ১৩ জন শ্রমিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জালাল হাওলাদার জানান, শ্রমিকরা সরকারি নির্দেশ অমান্য করে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও মহাসড়ক অবরোধ করে। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে। এসময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও শ্রমিকরা আহত হয়।