অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ)।
সোমবার এক বিবৃতিতে জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার এ সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট- সিসিইউতে ভর্তি আছেন খালেদা জিয়া। তাকে করোনা পরিবর্তী জটিলতাসহ অন্যান্য চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন একজন ৭৬ বছরের বয়স্কা নারী। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। এছাড়া আরও বেশ কিছু জটিল রোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, খালেদার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন মঞ্জুর না করা থেকেই প্রমাণিত হয়, বর্তমান সরকার তার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তারা তাকে বিদেশে উন্নত ও সুচিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না। অথচ মানবতার কাছে আইন কোনো বিষয় নয়।
সরকারি সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানিয়ে জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক বলেন, খালেদা জিয়া শুধু বিএনপির চেয়ারপারসন নন তিনি বাংলাদেশের তিন তিনবারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান সরকার মহামারী করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিষয়টি মানবিক দিক বিবেচনায় নিয়ে তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে পারতো।
জেডআরএফের বিবৃতিতে বলা হয়, বিশেষ বিবেচনায় অতীতে হিংস্র খুনি থেকে কুখ্যাত মাস্তানদের পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পাওয়ার নজির রয়েছে। অথচ দেশে দেশে রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক এই ক্ষমা করার বিধান রয়েছে শুধু চরম মানবিক বিষয় বিবেচনার জন্য।
এতে আরও বলা হয়, দণ্ড স্থগিত করে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো নজিরবিহীন ঘটনা নয়। থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, পাকিস্তানসহ অনেক দেশে চিকিৎসার জন্য অনেক সাবেক রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানের বেলায় এমনটি ঘটেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে সাত বছরের সাজা হলেও লাহোর হাইকোর্ট তাকে জামিন ও সাজা স্থগিত করে বিদেশ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।