যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিট থেকে পালিয়ে যাওয়া সাত রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

সোমবার তাদের আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এর আগে ৮ মে আদালত পালিয়ে যাওয়া ১০ করোনা রোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।

ওই ১০ রোগী হলেন— যশোর সদর উপজেলার পাঁচপাবাড়িয়া গ্রামের রবিউলের স্ত্রী ফাতেমা (১৯), একই গ্রামের একরামুল কবীরের স্ত্রী রুমা (৩০), যশোর শহরের বারান্দীপাড়া এলাকার বিশ্বনাথের স্ত্রী মনিমালা দত্ত (৪৯), যশোর শহরের ওয়াপদা গ্যারেজপাড়ার ভদ্র বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (৩৭), সাতক্ষীরা আশাশুনি উপজেলার প্রতাপপাড়া গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন (৩২), সাতক্ষীরা কালীগঞ্জ উপজেলার সোনাতলা গ্রামের মনোতোষ সর্দারের স্ত্রী শেফালী রানী (৪০), খুলনার পাইকগাছার ভামরাইল গ্রামের আহমদ সানার ছেলে আমিরুল সানা (৫২), খুলনার রূপসা চল এলাকার শের আলীর ছেলে সোহেল সরদার  (১৭), খুলনা মহানগরের বিকে পূর্ব লেন এলাকার পুলিন কৃষ্ণ সরকারের ছেলে বিবেকানন্দ সরকার ও রাজবাড়ী সদর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের মেয়ে নাসিমা আক্তার। এদের মধ্যে ভারতফেরত মনিমালা, মিলন হোসেন,  আমিরুল সানা, সোহেল সরদার, বিবেকানন্দ সরকার, নাসিমা আক্তার ও স্থানীয় ফাতেমা খাতুনকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়।

সদ্য পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন,  গত ২৩ এপ্রিল যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ওই ১০ রোগী পালিয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এর পর গত ৮ মে আদালতে ওই ১০ জনের বিষয়ে আদালত নন-এফআইআর প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়। রোববার আদালত তাদের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। সোমবার হাসপাতাল সাতজনকে ছাড়পত্র দেয়। এর পর তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।