নিকট অতীতে দেখা গেছে, যুবলীগ-ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি হলেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়। ব্যতিক্রম ঘটেছে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের ক্ষেত্রে। দীর্ঘদিন পরে যুবলীগের একটি ইউনিটের কমিটি হলো। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার পরিবর্তে প্রশংসা এসেছে চোখে পড়ার মতো।

গত ৬ মে (বৃহস্পতিবার) যুবলীগের চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের ২১ সদস্য বিশিষ্ট এই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষিত হয়।

কমিটি ঘোষণার পরপরই ফরিদপুরের বিশিষ্টজনদের প্রশংসা কুড়োচ্ছে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। পাশাপাশি নতুন নেতাদের জানানো হচ্ছে শুভেচ্ছা।

ফরিদপুরের রাজনীতির কঠোর সমলোচক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক প্রবীর সিকদার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘ফরিদপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটিকে অভিনন্দন! আমার সবচেয়ে ভালোলাগা, কমিটির ২১ জনের কেউই হাইব্রিড লীগের নয়!’

এদিকে ফরিদপুরের সন্তান ইনডিপেনডেন্ট টিভির সিনিয়র সাংবাদিক অনিমেষ কর লিখেছেন, ‘ফরিদপুরের জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি হলো।যার আহ্বায়ক জিয়াউল হাসান মিঠু। অভিনন্দন মিঠু ভাই। আশা করি আপনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়াবে ফরিদপুর যুবলীগ। যুবলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ শেখ ফজলে শামস পরশ এবং মাঈনুল হোসেন খান নিখিলকে ধন্যবাদ যোগ্য মানুষকে যোগ্য জায়গায় স্থান দেওয়ার জন্য।’

তিনি লিখেন, ‘আমি যখন ফরিদপুর জিলা স্কুলের ছাত্র জিয়াউল হাসান মিঠু তখন ফরিদপুরের তুখোড় ছাত্রনেতা। সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন, পরবর্তীতে ভিপিও নির্বাচিত হয়েছিলেন। আমাদের কৈশোর এবং তারুণ্যের নায়ক ছিলেন তিনি। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তার ছিল বলিষ্ঠ ভূমিকা। তার নেতৃত্বে সেই আন্দোলনের মিছিল করেছি আমরাও। পরবর্তীকালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় রাজপথে কখনো পিছপা হননি জিয়াউল হাসান মিঠু। দেখতে চাই ফরিদপুরে যুবলীগকে মানবিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মিঠু ভাই।’

উল্লেখ্য, ২৩ নভেম্বর ২০১৯ সালে যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে সংগঠনটির চেয়ারম্যান করা হয় বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশকে। সাধারণ সম্পাদক করা হয় তৎকালীন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি মাঈনুল হাসান খান নিখিলকে। তাদের হাত ধরেই চলছে যুবলীগ।