পদ্মায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় আহত চালক মাদকাসক্ত ছিল বলে প্রমাণ মিলেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে করা ডোপ টেস্টে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করা চালক শাহআলমকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

গত সোমবার ভোরে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজারে আসার পথে কাঁঠালবাড়িতে নোঙ্গর করা বাল্কহেডের সাথে স্পিডবোটের সংঘর্ষে নিহত হয় ২৬ জন। এসময় স্পিডবোটের চালক শাহআলমকে গুরতর অবস্থায় শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রশাসনের নির্দেশে ওইদিন চালকের ডোপ টেস্টের নমুন সংগ্রহ করে রাখে স্বাস্থ্য বিভাগ। ডোপ টেস্টের কিট মাদারীপুরে না থাকায় ঢাকা থেকে কিট সংগ্রহ করা হয়। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিকেলে কিট হাতে পেলে ডোপ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে বলে জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় কাঁঠালবাড়ি ঘাটের নৌপুলিশের এসআই লোকমান হোসেন বাদী হয়ে শিবচর থানায় ঘাটের ইজারাদার শাহআলম খান, স্পিডবোটের দুই মালিক চান্দু মিয়া, রেজাউল ও চালক শাহআলমের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক ঘোষ বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে দুর্ঘটনা কবলিত স্পিডবোটের চালক শাহআলমের ডোপটেস্টের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা গেছে সে মাদকাসক্ত।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড.রহিমা খাতুন বলেন, আমরা দুর্ঘটনা কবলিত স্পিডবোটের চালকের ডোপটেস্টে করেছি। ডোপটেস্টে মাদক সেবনের প্রমান মিলেছে। সে মাদকাসক্ত ছিল। মাদক সেবন করে আগামীতে কেউ স্পিডবোট চালাবে না। রেজিষ্ট্রেশন ব্যতিত কোন স্পিডবোট চলাচল করার সুযোগ দেয়া হবে না। লাইসেন্স ব্যতিত কোন চালকও থাকবে না। লাইসেন্স প্রাপ্তচালকেদেরও নিয়মিত ডোপটেস্টে করা হবে