আল্লামা আহমদ শফীর ইন্তেকালের পর হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব আর্ন্তজাতিক উগ্রবাদীদের অনুসারী একদল আলেমের হাতে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, নামধারী এ লোকগুলোর সঙ্গে জামায়াত-শিবির ও তাদের মিত্রদের গোপন শলাপরামর্শের মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসাগুলোকে কুক্ষিগত করে তাদেরকে সামনে রেখে হেফাজতের ব্যানারে জ্বালাও পোড়াও, লুটপাট, হত্যা, বিরোধীদের বাড়ীঘরে আগুন, শিল্প সাংস্কৃতির ভিত্তি ধ্বংসের মাধ্যমে দেশ ব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মিছবাহুর রহমান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছিলাম, আলেম নামধারী জামায়াত ও হেফাজতি একদল লোক হেলিকপ্টার নিয়ে সাড়া বাংলাদেশে ওয়াজ মাহফিলের নামে মিথ্যাচার করছে। কোরআন হাদিসের অপব্যাখ্যা দিয়ে পবিত্র জিহাদের কথা বলে যুব সমাজকে উগ্রতার দিকে ধাবিত করছে। ভাই-ভাইয়ে ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করছে। সাম্প্রদায়িকতার ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা সরকার ও দেশবাসীকে এ সব বিষয়ে আগেই সাবধান করেছি, ওলামা-মাশায়েখদের দৃষ্টি আকর্ষন করেছি। ঘটনাবলী তাণ্ডব থেকে মহাতাণ্ডবের দিকে যাওয়ার পূর্বে দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। বিলম্ভ হলেও সরকারের বোধোদয় হয়েছে।
শুধু আইনের মাধ্যমে এসব অপতৎপরতা বন্ধ করা যাবে না বলে সরকারকে পরামর্শ দেন বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, এই অপশক্তির ভূত যাতে কওমি মাদ্রাসায় আর আছর করতে না পারে তাই দেশের শান্তিপ্রিয় আলেমদের সহযোগিতায় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। উগ্রবাদের পরিবর্তে শান্তি, ঘৃণার পরিবর্তে ভালোবাসা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রকৃত জিহাদ ও ফিৎনার পার্থক্য বুঝাতে হবে। উস্কানিমূলক বক্তব্য বন্ধ করতে হবে। ব্যক্তিপূজা বন্ধ করতে হবে। মহানবী (সা.) ও তার সাহাবায়ে কেরাম (রা.) এবং ওলি-বুজর্গদের প্রদর্শিত ইসলাম মেনে চলতে হবে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে আল-হাইয়াতুল উলইয়া এবং বেফাকের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী উগ্রবাদী নেতাদের বহিষ্কার করে শান্তিপ্রিয় পারদর্শী কওমি আলেমদের নিয়োগের দাবি জানানো হয়।