ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। একইসঙ্গে সব নৌযানের নিবন্ধন থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার নতুন অবকাঠামো ও জলযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সুন্দরবনের ভেতরের জলপথ এখন আর ব্যবহার হয় না, তাতে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি রামপাল প্রকল্পের মাধ্যমে ঐ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের নৌপথ প্রতিবেশীরা ব্যবহার করলে তাতে বাংলাদেশেরই উন্নয়ন। সরকার প্রতিবেশীদের সে সুযোগ সুবিধা দিতে সচেষ্ট। নদীমাতৃক বাংলাদেশে জলপরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নের বিকল্প নেই।’

নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার নতুন অবকাঠামো ও জলযান চালু হচ্ছে।

এগুলোর মধ্যে রয়েছে বিআইডাব্লিউটিএ’র ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজার, ৮৩টি ড্রেজার সহায়ক জলযান, প্রশিক্ষণ জাহাজ ‘টিএস ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদা ভাই, বিশেষ পরিদর্শন জাহাজ ‘পরিদর্শী’, নবনির্মিত নারায়ণগঞ্জ ড্রেজার বেইজ, বিআইডাব্লিউটিসির দুইটি উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ‘পায়রা আবাসন’ পুনর্বাসন কেন্দ্র এবং পাবনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেট মেরিন একাডেমি।