রিসোর্টকাণ্ডে নৈতিকতার প্রশ্নে ধস। নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার অভিযানে কোণঠাসা। আর তদন্তে রাজনৈতিক অভিলাষ আর জঙ্গি সম্পৃক্ততা মেলায় হেফাজতে ইসলাম এখন দিশেহারা। নিষিদ্ধের দাবিও উঠেছে। এ অবস্থায় ভুল স্বীকার করে আগামীতে আর কোনো রাজনৈতিক বিষয়ে না জড়ানোর মুচলেকাও দিতে রাজি সংগঠনটি। তাই বারবার সরকারের কাছে ধর্না দিচ্ছে। তবে পুলিশ বলছে, সহিংসতায় জড়িতদের আইনের আওতায় আসতেই হবে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতায় নেমে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় মেতে ওঠে হেফাজতে ইসলাম। টানা তিনদিনের তাণ্ডব শেষে রিসোর্টে অবকাশ যাপনে গিয়ে যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়ান হেফাজতের প্রভাবশালী নেতা মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে, বিচার চেয়েছেন রিসোর্টকাণ্ডে ভুক্তভোগী নারী।

এরইমধ্যে নাশকতার দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছে বেশকজন নেতা।তদন্তে বেরিয়ে এসেছে হেফাজতের রাজনৈতিক অভিলাষ, বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক, জঙ্গি সংশ্লিষ্টতাসহ চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভেঙে দিতে হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি। উপায়ন্তর না পেয়ে সরকারের মন গলানোর চেষ্টায় বারবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় ছুটছে হেফাজত।

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির নায়েবে আমীর আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী বলেন, ‘সবাই এই সমস্ত ইস্যুর সঙ্গে জড়িত না, কেউ কেই জড়িত থাকতে পারে। মানুষ ভুল করে, আবার শুধরাবার চেষ্টা করে। আমাদের হেফাজতের সে ধরনের কিছু থাকলে শুধরে নেয়া উচিত। আমরা আমাদের কিছু দাবি-দাওয়া পেশ করে এসেছি। এখন উনাদের ইচ্ছা, এখন করতেও পারে, নাও করতে পারে।’

এরমধ্যেই হেফাজতকে নিষিদ্ধের দাবি তুলেছে বেশ কয়েকটি ইসলামি দল ও সংগঠন, যা আরো অসহায় করে তুলেছে ক্বওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনটিকে।