করোনাকালে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রাকৃতিক দাওয়াই হিসেবে কাজ করে ভেষজ উপাদান। এগুলো সবসময় ঘরে না-ও থাকতে পারে। তাই প্রায়োজনে হাতের কাছে দরকারি সব ভেষজ রাখতে গড়ে তুলুন ছোট্ট বাগান।
রান্নায় ব্যবহারের পাশাপাশি সর্দি-কাশি সারায় এমন কয়েকটি হার্বস আপনার বারান্দায় লাগাতে পারেন। জেনে নিন কীভাবে করবেন হার্ব গার্ডেনিং-
আদা
রান্নায় আদা ব্যবহারের বিকল্প নেই। আদা চা খেতেও কিন্তু দারুন! মাথা ব্যথা করলে অথবা সর্দি-কাশি হলে ঘরোয়া উপায়ে তা সারাতে আদা থাকা চায়। তাই ঘরেই যদি আদা ফলিয়ে নিতে পারেন; তাহলে তো কোনও কথাই নেই!
এজন্য একটি আদার শিকড়কে আলাদা করে মাটি ভরা পাত্রে বুনে দিন। খেয়াল রাখবেন, আদার কুঁড়ি যেন মাটির উপরে থাকে। এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন কাণ্ড ও শিকড় গজাবে। যা থেকে আবার শিকড় নিয়ে বেশ কয়েকটি আদা গাছ লাগিয়ে ফেলতে পারবেন পাশাপাশি।
রসুন
সবার রান্নাঘরেই এ উপাদনি থাকে। এটি একটি নিত্য প্রয়োজনীয় উপাদান। রসুনের স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। সকালে এক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরে হাজারো উপকার মেলে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও রসুন কার্যকরী।
রসুনের একটি কোয়া থেকেই নতুন রসুন গাছ পাওয়া যায়। এজন্য রসুনের একটি শিকড়সহ কোয়া নিয়ে উল্টো করে মাটিতে রোপণ করুন। রসুন গাছ হওয়ার জন্য প্রচুর সূর্যের আলোর প্রয়োজন। নতুন কাণ্ড আসলে মাথা কেটে দিলে সেখান থেকে রসুন হবে।
পুদিনা পাতা
গরমে বিভিন্ন পানীয় তৈরি করতে পুদিনা পাতার বিকল্প নেই। এটি শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। বরফ কুচি দিয়ে পাতিলেবু ও পুদিনার সরবতের স্বাদ সবারই পছন্দের। এ ছাড়াও ঠান্ডা-কাশি বা গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পুদিনা পাতার চা সেরা দাওয়াই!
পুদিনা অন্য অনেক গাছের চেয়ে সহজেই ফলে এবং এক চারা থেকেই এর বংশবৃদ্ধি ঘটে। পুদিনা চারা কিনে পোঁতার সময় নীচের দিকের পাতাগুলো ছাড়িয়ে নিন। পুদিনা গাছ রোপণের জন্য দরকার চার ইঞ্চি লম্বা একটি মূল। পাতা কাঁচি দিয়ে কাটবেন।প্রতিদিন ভুলবেন না। হালকা আলো আছে এমন জায়গায় রাখুন।
ধনেপাতা
ধনেপাতা ব্যবহার সব খাবারকে আরও সুস্বাদু করে তোলে। সে সালাদ হোক আর নিরামিষ। এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। এ গাছ ফলাতে মূলের নিচের অংশটুকু এক গ্লাস পানিতে ডুবিয়ে জানলার পাশে একটি রেখে দিন।
ভালো সূর্যের আলো প্রয়োজন হবে। শিকড় থেকে যখন কয়েক ইঞ্চি বড় হবে, তখন গাছটিকে সাবধানে মাটির পাত্রে স্থানান্তর করুন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই গাছে নতুন ধনেপাতা দেখবেন।
পার্সলে
খুব পরিচিত একটি হার্ব এটি। অনেকেই এর স্বাদ ও গন্ধ পছন্দ করেন। এই গাছ বসন্তের মাঝামাঝি সময়ে লাগাতে হবে। এটি রোপণের পর মাটি যেন কখনওই শুকিয়ে না যায় তা খেয়াল রাখবেন।
কড়া রোদ থাকাকালীন বাইরে বীজ লাগান। এই গাছের চারা খুব আস্তে আস্তে বের হয়। তাই মোটামুটি ছয় সপ্তাহ পরে চারা তৈরি হবে। তারপর সেগুলো তুলে টবের মাঝখানে লাগিয়ে দিন। এরপর আংশিক ছায়া দেখে টবগুলো রেখে দিন।