প্রত্যেক বছর ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে এসএসসি ও এপ্রিলের প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত হয় এইচএসসি সমমানের পরীক্ষা। তবে গতবছর (২০২০) এইচএসসি পরীক্ষা থেকে শুরু হয়েছে ঝামেলার। করোনার কারণে দীর্ঘদিনের চলমান এই সূচিতে পড়েছে ব্যাপক প্রভাব।

চলতি ২০২১ সালেও করোনা সংক্রমণের কারণে নির্ধারিত সময়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি এই দুই পাবলিক পরীক্ষা। বাধ্য হয়ে ৬০ দিন পেছাতে হয়েছে এসএসসি ও ৮৪ দিন পেছাতে হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা।

কথা ছিল এই সময়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়িয়ে জুন-জুলাইয়ে এসএসসি ও সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে সেই সূচিও ভেস্তে যেতে বসেছে। ফলে আরও দুই মাস পিছিয়ে যেতে পারে এ দু’টি পাবলিক পরীক্ষা। এমন আভাস দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

তবে এবার অটোপাসও হবে না। নির্ধারিত সময় থেকে পিছিয়ে নেওয়া হতে পারে পরীক্ষার সময়সূচি। এক্ষেত্রে কীভাবে পরীক্ষা হবে সে বিষয় নিয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

বুধবার (৫ মে) এ প্রসঙ্গে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘এসএসসি-এইচএসসির জন্য সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে দেয়া হয়েছে। জুন-জুলাইয়ে এসএসসি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। তবে সেটি হয়তো দু-এক মাস পিছিয়ে যেতে পারে। কিন্তু পরীক্ষা হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।’

তিনি বলেন, ‘গতবার এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের যেভাবে পাস করানো হয়েছে, তাকে অটোপাস বলা অন্যায়। এর কারণ পরীক্ষার সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছিল তারা। এবারের এসএসসি কিংবা এইচএসসির বিষয়টি ভিন্ন। তারা ক্লাসে যেতে পারেনি। এজন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হলেও এবার পরীক্ষায় বসতেই হবে শিক্ষার্থীদের।’