বরিশালের বাকেরগঞ্জে ঘুষের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্ধ হয় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আসাদ ও টিএসআই আইয়ুব আলীর মধ্যে। সেই দন্ধ মেটাতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হন ট্রাফিকের টিআই ফিরোজ। এর জেরে ক্লোজ করা হয়েছে অভিযুক্ত দুইজনকে।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ সরদার।

তিনি জানান, সার্জেন্ট আসাদ ও আইয়ুব আলী বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের বাকেরগঞ্জে বাসস্ট্যান্ডে নিয়মিত ডিউটি করেন। সার্জেন্ট সুজন ও টিএসআই আব্দুল জলিল ওই সড়কের বোয়ালিয়াতে ডিউটি করেন। তবে হেফাজত আন্দোলনের কারণে তাদের একত্রিত হয়ে ডিউটি করতে বলা হয়।

তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে ওই দুই গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হলে তা মেটানোর জন্য টিআই ফিরোজ ঘটনাস্থলে যান। এতে টিএসআই আইয়ুব আলী উত্তেজিত হয়ে টিআই ফিরোজকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের ক্লোজ করা হয়েছে। তদন্ত চলমান আছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

তবে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক পুলিশ সদস্য জানান, সার্জেন্ট সুজন ও টিএসআই আব্দুল জলিল মাঝে-মধ্যেই বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ সঙ্গিতা সিনেমা হল এলাকায় পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করতেন। এ নিয়ে সার্জেন্ট আসাদ ও আইয়ুব আলীর মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এ ঘটনা মেটাতে গিয়ে টিআই ফিরোজকে সার্জেন্ট আসাদ ও আইয়ুব আলী মারধর করেন।

লাঞ্ছনার শিকার টিআই ফিরোজ ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার এক নিকটাত্মীয় জানান, তার শারীরিক অবস্থা ভালো না। তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।