করোনাভাইরাসের চেয়ে ভয়ঙ্কর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) মোকাবিলায় পাঁচটি কর্মের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে এএমআর সম্পর্কিত উচ্চ স্তরের সংলাপে তিনি এসব পরামর্শ দেন।
এএমআর নিয়ে গঠিত গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের অংশগ্রহণে এ সংলাপের আহ্বান করেন জাতিসংঘের জেনারেলঅ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট। এতে কো-চেয়ার হিসেবে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উপস্থিত ছিলেন আরেক কো-চেয়ার বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলে।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব এখন করোনার ধ্বংসাত্মক মহামারি প্রত্যক্ষ করছে। তবে, এএমআরের কারণে ভবিষ্যতে আরও মারাত্মক মহামারি হতে পারে। এই বিপদ সময়মতো মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হওয়ার ফলে মানবজীবন, প্রাণী ও উদ্ভিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) এক অনুমান অনুসারে, এএমআর থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতি বছরে ১০ মিলিয়ন মানুষ মারা যাবে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে ট্রিলিয়ন ডলারে, যা খাদ্য সুরক্ষা ও এসডিজির অর্জন এবং সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের দিকে অগ্রগতিকে ব্যাহত করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ছয় বছরের (২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত) অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স কনটেনমেন্ট-এআরসি সম্পর্কিত জাতীয় কৌশল পরিকল্পনা এবং জাতীয় কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছি। তদুপরি, এআরসি সম্পর্কিত জাতীয় প্রযুক্তি কমিটি এবং বাংলাদেশ এএমআর প্রতিক্রিয়া জোট গঠিত হয়েছিল। ডব্লিউএইচওর শ্রেণিবিন্যাস নিশ্চিত করতে মানব ও প্রাণী উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্য ল্যাবরেটরিভিত্তিক এএমআর নজরদারি নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে। একইভাবে, ২০১৯ সাল থেকে আমরা ডব্লিউএইচওর গ্লাস প্ল্যাটফর্মকে এএমআর নজরদারি ডেটা সরবরাহ করে আসছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতের মহামারি প্রতিরোধের জন্য এএমআরের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এএমআরের ওপর গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যান-২০১৫, এএমআরের ওপর জাতিসংঘের রাজনৈতিক ঘোষণা-২০১৬ বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এএমআরের ওপর জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। এএমআর নিয়ে গঠিত গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপের সহ-সভাপতিত্বকারী হিসেবে বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী ও আমি এএমআরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবদান রাখতে সকল প্রাসঙ্গিক অংশীজনদের সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।