ভারতে করোনাভাইরাস মহামারি রূপে ছড়িয়ে পড়ায় সোমবার সকাল থেকে বেনাপোলসহ বাংলাদেশের সকল স্থলবন্দরে পাসপোর্টযাত্রী যাতায়াত বন্ধ করা হয়েছে। তবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে।
ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী গাড়ির চালক ও তাদের সহকারীরা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। মঙ্গলবার বিশেষ ব্যবস্থায় ফেরত আসা বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রীদের ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব বন্দর, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য বিভাগের। কিন্তু বেনাপোল স্থলবন্দরের বাইপাস সড়ক দিয়ে যে সকল ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ করছে এবং মালামাল বন্দরের পণ্যাগারে আনলোড করে পুনরায় ভারতে ফেরত যাওয়া পর্যন্ত প্রক্রিয়ায় যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এতে বন্দর এলাকার সাধারণ নাগরিক ও বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের কর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে, উভয় দেশে আটকে পড়া পাসপোর্টধারী যাত্রীরা স্ব-স্ব হাইকমিশনের বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে স্বদেশে ফেরত আসতে বা যেতে পারবেন। সেই মোতাবেক মঙ্গলবার সকালে প্রায় শতাধিক যাত্রী দেশে ফেরত এসেছে। তবে তাদেরকে বন্দর এলাকায় ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যদিও তাদের হাতে করোনা নেগেটিভ সনদ রয়েছে।
এ সম্পর্কে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি মুজিবর রহমান বলেন, আমরা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করছি।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলীফ রেজা বার্তা বাজারকে বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ভারত থেকে আগত পাসপোর্টধারী বাংলাদেশি যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। যাদের করোনা পজিটিভ পাওয়া যাবে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।