গরমে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার বিকল্প নেই। এই করোনাকালে শরীরকে সুস্থ রাখতে মুখোরোচক ভাজা-পোড়া খাবার না খেয়ে বরং চেষ্টা করুন পুষ্টিকর খাবার কীভাবে সুস্বাদু করে তৈরি করা যায়।

তেমনই এক পুষ্টিকর খাবার হলো দই-চিড়া। সবাই কমবেশি জানেন, দই-চিড়া খেলে পেট ঠান্ডা থাকে। এ কারণে অনেক স্বাস্থ্য সচেতনরাই ইফতারে দই-চিড়া খেয়ে থাকেন।

পুষ্টিবিদদের মতে, চিড়ায় পটাশিয়াম ও সোডিয়াম কম থাকে। তাই কিডনি রোগীরা চিড়া খেতে পারেন। সিলিয়াক ডিজিজের রোগীদের জন্যও চিড়া খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। এ ছাড়াও দইয়ে থাকে প্রোবায়োটিক। যা অন্ত্রে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।

চিড়া পেট ঠাণ্ডা করে, পানির অভাব পূরণ করে এবং একইসঙ্গে ক্ষুধাও মেটায়। দই-চিড়া এমন একটি খাবার, যা দ্রুত হজম হয়। ইফতারে এ খাবারটি খেলে শরীর নানাভাবে উপকৃত হয়ে থাকে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, সুস্বাদুভাবে দই-চিড়া তৈরি করার রেসেপি-

১. দুধ ১ লিটার
২. টক দই ১০০ গ্রাম
৩. কলা ১ টি
৪. ভেজা চিড়া ১/২ কাপ
৫. নারকেল কোড়ানো আধা কাপ
৬. লেবুর রসআধা চা চমচ
৭. পাকা আমের টুকরো (অপমনাল)
৮. কিসমিস ৪-৫টি
৯. লবণ স্বাদমতো
১০. সামান্য এলাচ গুঁড়ো এবং
১১. চিনি বা গুড় পরিমাণমতো

পদ্ধতি

প্রথমে একটি পাত্রে দুধ ঢেলে দিন। এরপর এতে টক দই, চিনি ও লবণ দিয়ে ১০-১৫ মিনিট নেড়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।

তারপর মিশ্রণটি ছেঁকে অন্য একটি পাত্রে রাখুন। তারপর গরম কোন জায়গায় ২-৩ ঘণ্টা রেখে দিন।

এরপর পাত্রটি ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। এবার ভালো করে চিড়াগুলো ধুয়ে নিন। ফ্রিজ থেকে বের করে দেুদের মিশ্রণে চিড়াগুলো মিশিযে ফ্রিজে রেখে দিন এক ঘণ্টা।

এবার চিড়া বের করে কোড়ানো নারকেল মিশিয়ে আবারও ফ্রিজে রেখে দিন। ইফতারের আগে বের করে কলা, আম, এলাচ গুঁড়ো ও কিসমিস মিশিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার দই-চিড়া।