বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার নয় বছর পর মির্জা আব্বাস দলীয় নেতাকর্মীদের দায়ী করে বক্তব্য দেন। তার প্রেক্ষিতে দলের পক্ষ থেকে মির্জা আব্বাসের কাছে চিঠি দিয়ে লিখিত জবাব চাওয়া হয়। শনিবার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ফলে আশা করা হচ্ছিল এই বৈঠকে মির্জা আব্বাস তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেবেন।

বৈঠকের পর চিঠির ব্যাখ্যার বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস এ প্রতিবেদককে বলেন,‘কিসের চিঠি?’

দল থেকে যে চিঠি দেয়া হয়েছে, সে প্রসঙ্গ স্মরণ করিয়ে দিতে আব্বাস বলেন, ‘যদি আমাকে চিঠি দিয়ে থাকে, সেটা হলো আমার দলের চিঠি আমাকে দিয়েছে। অন্যদের জানার দরকার কী সেটা?’

এ নিয়ে কথার একপর্যায়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমার ঘরের খবর অন্যদের দরকার পড়লো কেন? আমার দলের চিঠি আমার কাছে আসছে। আমি চিঠির জবাব দেব, এটা আমাদের ইন্টারনাল ব্যাপার। এটা তোমরা কি করে জানবা? জানার চেষ্টা করলে কেন? আমি তোমাকে কথাটা বলি নাই। আমি বলছি যারা এটা করছে। এই সমস্ত ‘দুই পয়সার সাংবাদিক’ আর পুলিশকে আমি জমা খরচ কম দেই। সুতরাং আমার কাছে এই ধরনের প্রশ্ন করবা না। আমার কাছে এই ধরনের উত্তর কখনো পাবা না।’

এদিকে বিএনপির বৈঠক সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দুই সদস্য ‘একঘরে’ হয়ে ছিলেন। তারেক রহমান ওই দুজনের সাথে কোনো কথা বলেননি। বৈঠকে মূলত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির জুনিয়র দুইজন এবং সিনিয়র একজন নেতা সরব ছিলেন। এছাড়া চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট থাকায় বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি সম্প্রতি করোনা থেকে মুক্ত হওয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

সূত্র আরও জানায়, বৈঠকে স্থায়ী কমিটির জুনিয়র একজন সদস্য মির্জা আব্বাসের প্রসঙ্গ উত্থাপন করলে তারেক রহমান বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহ দেখাননি।

বৈঠকের বিষয়ে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি, লকডাউন, স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

স্থায়ী কমিটির সভায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মইন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।