ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ সাবমেরিনের ৫৩ জন কর্মীদের উদ্ধারের জন্য আর ৭২ ঘণ্টা সময় রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির নৌবাহিনী। সাবমেরিনটিতে আর ৭২ ঘণ্টার অক্সিজেন রয়েছে, তাই এ সময়ের মধ্যে উদ্ধার না করা গেলে হয়তো এটির কর্মীদের আর বাঁচানো সম্ভব হবে না।

ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার সকালে বালি উপকূল থেকে একশ কিলোমিটার দূরে সমুদ্র থেকে কেআরআই নাংগালা-৪০২ সাবমেরিনটি নিখোঁজ হয়ে যায়। এটি উদ্ধারে ছয়টি যুদ্ধ জাহাজ, একটি হেলিকপ্টার ও চারশ জন উদ্ধারকর্মীকে নিয়োজিত করা হয়েছে।

সাবমেরিনটি উদ্ধারের জন্য সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া জাহাজ পাঠিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানি সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে।

নৌবাহিনী জানায়, জার্মানিতে নির্মিত সাবমেরিনটি মহড়া দিতে গিয়েছিল। এটি ফিরতে ব্যর্থ হয় এবং এটির সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়।

ফার্স্ট অ্যাডমিরাল জুলিয়াস উইডজোজোনো এএফপিকে বলেন, ‘আমরা এলাকাটি চিনি কিন্তু এটি বেশ গভীর।’

কিছু খবরে বলা হয়েছে, গভীর সাগরে ডুব দেয়ার অনুমতি দেয়ার পর সাবমেরিনটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এদিকে, সাবমেরিনটি যেখানে ডুব দিয়েছে সেখানে তেল নির্গমন পাওয়া গেছে। এটি জ্বালানি ট্যাঙ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে হতে পারে অথবা সাবমেরিনের কর্মীদের কোনো সংকেতও হতে পারে বলে জানিয়েছে নৌবাহিনী।

ইন্দোনেশিয়ার ব্যবহৃত প্রথম পাঁচটি সাবমেরিনের একটি হলো এই সাবমেরিনটি। এটি ৭০ এর দশকের শেষের দিকে তৈরি করা হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ায় এটিকে মেরামতের জন্য পাঠানো হয়েছিল। দুই বছরের মেরামত ২০১২ সালে সম্পন্ন হয়।

নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, ইন্দোনেশিয়ায় কোনো সাবমেরিন নিখোঁজের ঘটনা এটিই প্রথম। তবে এ ধরনের দুর্ঘটনা এর আগে অন্য দেশে ঘটেছে।

২০১৭ সালে আর্জেন্টিনার একটি সামরিক সাবমেরিন দক্ষিণ আটলান্টিক সাগরে ৪৪ জন কর্মী নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। এক বছর পরে সাবমেরিনটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মেলে। কর্মকর্তারা তখন জানান, এটি বিস্ফোরিত হয়েছিল।