ভাসানচর ইস্যুটি এখন আর কোনো ইস্যু নয়, এটার সমাধান হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আলজাজিরায় নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসানচর নিয়ে প্রকাশিত নেতিবাচক প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভাসানচর ইস্যুটি এখন ‘ডান অ্যান্ড ডাস্টেড’। অতীতেও আমরা বলেছি, আমরাই প্রথম দরজা খুলে দিয়েছি। আমরা জানি কীভাবে অন্য দেশ থেকে বিতাড়িত মানুষদের মানবিক বিপর্যয় থেকে বাঁচিয়ে দেখভাল করতে হয়। আমরা সেটাই করেছি।

বুধবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজনে ‘রোহিঙ্গা সমস্যা : প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

সম্প্রতি আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে দাবি করে, আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সরকারকে সতর্ক করেছে যে, ঝড় বৃষ্টির মৌসুম আসন্ন। এ পরিস্থিতিতে ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তীব্র ঝড়ের কবলে পড়তে পারে এবং সেখানে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা আমাদের রিসোর্স দিয়ে রোহিঙ্গাদের মতামতের ভিত্তিতেই ভাসানচরে নিয়েছি। আন্তর্জাতিক বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিরা সম্প্রতি ভাসানচর সফর করেছেন। তখন তারা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তার বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেননি। এমনকি কক্সবাজারের মতো ভাসানচরে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের দেখভালের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তারা।

এ ছাড়া ভাসানচর পরিদর্শনের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো প্রতিবেদনে ইতিবাচক অবস্থানের কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ। এর সঙ্গে কিছু সুপারিশও করেছে সংস্থাটি।

উল্লেখ্য, মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের মুখে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।তাদের সবাইকে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।ওইসব ক্যাম্প থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে অধিকতর নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয় করে ভাসানচর প্রস্তুত করে বাংলাদেশ সরকার। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করে সরকার। এ পর্যন্ত সাত দফায় মোট ১৭ হাজার ৯৭১ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।