কয়েক বছরের গবেষণায় উচ্চফলনশীল ইনব্রিড ধানের দুটি জাত ও হাইব্রিড ধানের একটি জাত উদ্ভাবন করেছে এসিআই লিমিটেড। হাইব্রিড ধানের উন্নত জাত উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের খাদ্যনিরাপত্তায় ভূমিকা রাখতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
নিজস্ব উদ্ভাবিত হাইব্রিড ধানের গড় ফলন ২০২৫ সালের মধ্যে হেক্টরপ্রতি ১৫ টন ও ইনব্রিড ধানের ফলন ১০ টন করার গবেষণা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, বুধবার এসিআই-এর গবেষণা মাঠ পরিদর্শন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহাজান কবির, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক (ফিল্ড সার্ভিস) এ কে এম মনিরুল আলম ও অতিরিক্ত পরিচালক (ঢাকা অঞ্চল) কৃষিবিদ বশীর আহম্মদ সরকার।
গাজীপুরের মাওনায় এসিআই-এর গবেষণা মাঠ পরিদর্শনের সময় বিস্তারিত জানান এসিআই সিডের বিজনেস ডিরেক্টর সুধীর চন্দ্র নাথ ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, এসিআইতে একদল বিজ্ঞানী প্রিমিয়াম টাইপ, বিশেষ করে লম্বা সুগন্ধি ধান, ছোট সুগন্ধি ধান— কাটারিভোগ ও ছোট সুগন্ধি ধান—চিনিগুঁড়া, বেসিক টাইপ যেমন- আমন, বোরো, স্বর্ণা ও হাইব্রিড ধান নিয়ে কাজ করছেন। এর নেতৃত্বে আছেন ধান বিজ্ঞানী ড. মো. আব্দুস সালাম।
এরই মধ্যে এসিআই উন্নত মানের গবেষণাকাজ পরিচালনার জন্য প্রতিষ্ঠিত করেছে উচ্চমানের মলিকুলার ল্যাব, জিন ব্যাংক, গ্রিনহাউজ ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন গবেষণা মাঠ, যেখানে বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলে গবেষণায় উদ্ভাবিত শতাধিক ধানের লাইন মাঠ পর্যায়ে মূল্যায়ণ চলছে।
এসিআই ও আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) যৌথভাবে অর্ধদশক ধরে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এসিআই এরই মধ্যে উচ্চফলনশীল ইনব্রিড ধানের দুটি জাত রাবি ধান- ১ ও বাউ ধান- ৩ এবং হাইব্রিড ধানের একটি জাত উদ্ভাবন করেছে। এগুলো এরই মধ্যে কৃষক পর্যায়ে আবাদ হচ্ছে।
এছাড়া আরও আনেক নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে, যেগুলোর মূল বৈশিষ্ট্য উচ্চফলনশীল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বল্প জীবত্কালসম্পন্ন, জিংকসমৃদ্ধ, জলবায়ুসহিষ্ণু এবং ব্লাস্ট রোগ ও ব্যাক্টেরিয়াল ব্লাইট রোগ প্রতিরোধী। শিগগিরই উদ্ভাবিত নতুন জাতগুলো কৃষক পর্যায়ে দেয়া হবে।