নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র কাদের মির্জার নির্দেশে কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান নুর নবী চৌধুরীকে হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল।
তিনি বলেন, মেয়র কাদের মির্জার নির্দেশে তার ছোটভাই শাহাদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে নুর নবী চৌধুরীর ওপর হামলা ও গুলি করা হয়েছে।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সোমবার মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান নুর নবী চৌধুরী ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুজ্জামান স্বপনের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও অপরাজনীতির হোতা কাদের মির্জার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে এসে সম্মিলিতভাবে তাকে প্রতিহত করা হবে।
সোমবার দুপুর পৌনে ২টায় ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল এ হুশিয়ারি দেন।
বাদল অভিযোগ করে আরও বলেন, সোমবার সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরনবী চৌধুরী সন্ত্রাসী হামলায় আহত ও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তিনি নিজ কার্যালয়ে কাজ শেষ করে বসুরহাট যাওয়ার পথে কলাবাগান নামক স্থানে অপরাজনীতির হোতা মেয়র কাদের মির্জার নির্দেশে তার ছোটভাই শাহাদাত হোসেন ও তার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায়। এতে তার এক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় ও একপা ভেঙে পঙ্গু করে দেয়। আহত নুর নবী চৌধুরীকে দেখতে হাসপাতালে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসী বাহিনী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুরুজ্জামান স্বপনের ওপর হামলা চালিয়ে তাকেও গুরুতর আহত করে।
তিনি আরও বলেন, পবিত্র রমজান মাসে অপরাজনীতির হোতা মেয়র কাদের মির্জা জনগণকে অশান্তিতে ও জিম্মি করে রেখেছে। তা কোম্পানীগঞ্জবাসী ছাড়াও প্রবাসীরাও দেখছেন। মেয়র মির্জা জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী এসব অপকর্ম করছেন।