নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে থানার মূলফটকে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। এর আগেও  দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় আদালতে অনেকগুলো পাল্টাপাল্টি মামলা রয়েছে।

শুক্রবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দুটি দায়ের করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অনুসারী যুবলীগ নেতা নুরুল আফছার আরমান চৌধুরী ও মির্জা অনুসারী ইকবাল হোসেন ।

শুক্রবার রাত ১টায় কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মামলার এজাহারের আলোকে পুলিশ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

থানা সূত্রে জানা যায়, বিস্ফোরক আইনসহ আরও কয়েকটি ধারা উল্লেখ করে কাদের মির্জার অনুসারী ইকবাল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেলকে প্রধান আসামি করে ১৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০-৫০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করে।

অপরটিতে, একই ধারায় উপজেলা আওয়ামী লীগের অনুসারী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা যুবলীগ নেতা নুরুল আফছার আরমান চৌধুরী বাদী হয়ে কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিককে (২৫) প্রধান আসামি ও সেতুমন্ত্রী  ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহাদাত হোসেনকে (৫৫) দ্বিতীয় আসামি করে ১৬২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে  মেয়র মির্জা কাদের ও মিজানুর রহমান বাদল অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এই পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে আ.লীগের বাদল গ্রুপের নেতাকর্মিরা কাদের মির্জার অনুসারীদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। সেখান থেকে তারা  মিছিল সহকারে পৌর ভবনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়।

এর কিছুক্ষণ পর মেয়র কাদের মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক থানার সামনে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  ওই সংঘর্ষে দুই গ্রুপের ১৫জন অনুসারী আহত হয়।