নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে থানার নিয়মিত পুলিশের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো.আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনা হয়েছে। তবে অতিরিক্ত পুলিশের সংখ্যা তিনি জানাতে পারেননি।
এদিকে বৃহস্পতিবার নোয়াখালী জেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে কোম্পানীগঞ্জে বারবার সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ১৬ জন র্যাব, একটি বিশেষ মোবাইল টিম ও ৫০ জন পুলিশ মোতায়েন করার প্রস্তাবনা পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে ‘শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদ বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে দেশে দুর্নীতিবাজের সংখ্যা কমে যাবে’ বলে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। তবে নিজের ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে দাবি করে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাদের মির্জা বলেন একটি কুচক্রীমহল আইডি হ্যাক করে এ কাজ করেছে।
এর জের ধরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ২০-২৫ জন সমর্থক মির্জাবিরোধী স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল নিয়ে বসুরহাট পৌরসভায় ঢুকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দিলে তারা উপজেলা গেটে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পর মেয়র মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে মির্জার অনুসারীরা থানার সামনে গেলে উভয়পক্ষের সমর্থকরা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। ইটের আঘাতে তাশিক মির্জা ও আরমান চৌধুরীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ সময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে বলেও জানা গেছে।
এ ঘটনার জেরে রাত ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল যুবক বাসস্ট্যান্ডে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তারা স্ট্যান্ডে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজের তিনটি ড্রিমলাইন বাস ও কার্যালয় ভাংচুর করে।