নানা নাটকীয়তার পর কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বৃহস্পতিবার দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে। লেনদেনের শুরুতে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে।

এর আগে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়ায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। এ সময়ে ব্যাংক বন্ধের নির্দেশনাও দেয়া হয়। যে কারণে শেয়ারবাজারের লেনদেনও বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

কিন্তু মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেনের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংক খোলার সিদ্ধান্ত আসার পর পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনও (বিএসইসি) সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কঠোর লকডাউনের মধ্যে সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শেয়ারবাজরে লেনদেন চলবে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শেয়ারবাজরে লেনদেন শুরু হয়। শুরুতেই লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। ফলে ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক।

jagonews24

১০টা ২৬ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৪ পয়েন্ট বেড়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ৪ পয়েন্ট বেড়েছ। আর ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।

এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৬২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬০টির। আর ৪৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯৩ কোটি ২১ টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪২ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ৫০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৪টির, কমেছে ১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪টির।