করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৫০০ শয্যার ডিএনসিসি করোনা আইসোলেশন সেন্টার (বর্তমান ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল) -এর সেবা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো এক চিঠিতে ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালের জন্য এই বরাদ্দ চেয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন ডিএনসিসির আইসোলেশন সেন্টারের নামে বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় অস্থায়ী হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা প্রাতিষ্ঠানিক কোড প্রদানপূর্বক চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেট ছকে ২৫ কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থ বিভাগের বাজেটে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় তহবিল থেকে অথবা অর্থ বিভাগের অপ্রত্যাশিত খাত থেকে বরাদ্দ প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।
যেসব খাতে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে:
সম্মানী ভাতা ২ লাখ টাকা, অন্যান্য ভাতা ৩ লাখ টাকা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সামগ্রীর জন্য ৫০ লাখ টাকা, আপ্যায়ন ব্যয় ৩ লাখ টাকা, আউটসোর্সিং খাতে ৬ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ খাতের জন্য ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা, পানির জন্য ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা, ইন্টারনেট-ফ্যাক্স-টেলেক্সের জন্য ১ লাখ টাকা, ডাকের জন্য ৫০ হাজার টাকা, টেলিফোনের জন্য ৫০ হাজার টাকা, প্রচার ও বিজ্ঞাপন ব্যয় ৫ লাখ টাকা, প্রশিক্ষণের জন্য ১০ লাখ টাকা, পেট্রল-ওয়েল ও লুব্রিকেন্টের জন্য ৫ লাখ টাকা, গ্যাস ও জ্বালানীর জন্য ১০ লাখ টাকা, ভ্রমণ ব্যয়ের জন্য ৩ লাখ টাকা, পথ্যের জন্য ৭০ লাখ টাকা, চিকিৎসা ও শল্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদির জন্য ৭ লাখ টাকা, অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ২ কোটি টাকা, নিরাপত্তা সেবার জন্য ৫০ লাখ টাকা।
এছাড়াও মুদ্রণ ও বাঁধাইয়ের জন্য ৫ লাখ টাকা, স্ট্যাম্প ও সিলের জন্য ৫০ হাজার টাকা, অন্যান্য মনিহারির জন্য ৫ লাখ টাকা, অনুষ্ঠান-উৎসবের জন্য ৫ লাখ টাকা, মোটরযানের জন্য ৫ লাখ টাকা, আসবাবপত্রের জন্য ১০ লাখ টাকা, কম্পিউটারের জন্য ৪ লাখ টাকা, অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদির জন্য ৩০ লাখ টাকা, টেলিযোগাযোগ সরঞ্জামাদির জন্য ৭০ লাখ টাকা, মোটরযান রক্ষণাবেক্ষনের জন্য ২ লাখ টাকা, কম্পিউটার ও আনুসাঙ্গিকের জন্য ৭ লাখ টাকা, অন্যান্য আসবাবপত্রের জন্য ২৫ লাখ টাকা, অন্যান্য চিকিৎসা যন্ত্রপাতির জন্য ১০ কোটি টাকা।