সানরাইজার্স হায়দরবাদকে ১০ রানে হারিয়ে আইপিএলের নতুন আসরে যাত্রা শুরু করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু পরের ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের কাছে নিজেরাই হেরে গেছে ১০ রানের ব্যবধানে। তাও কি না হাতের মুঠোয় থাকা ম্যাচটি হেলায় হারিয়েছে কিং খানের দল।
মুম্বাইয়ের করা ১৫২ রানের জবাবে মাত্র ১৫ ওভারেই ১২২ রান করে ফেলেছিল কলকাতা। ফলে জয়ের জন্য বাকি ছিল ৩০ বলে ৩১ রান। সেখান থেকে শেষ ৫ ওভারে মাত্র ২০ রান করতে পেরেছে তারা। এর পেছনে বড় দায় মারকুটে ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের।
কেননা তিনি যখন ব্যাটিংয়ে আসেন তখন জয়ের জন্য ২৮ বলে ৩১ করলেই হতো কলকাতাকে। রাসেলের মতো খুনে ব্যাটসম্যানের জন্য এটি স্রেফ বাঁহাতের খেলই বলা চলে। কিনি তিনি আউট হয়ে যান ইনিংসের শেষ ওভারে। তখন ৩ বলে ১৩ করতে হতো কলকাতাকে।
অর্থাৎ ম্যাচ যখন হাতের মুঠোয় ছিল, তখন রাসেল ব্যাটিংয়ে থাকা অবস্থায় ২৫ বলে মাত্র ১৮ রান নিতে পেরেছে কলকাতা। যেখানে রাসেলের অবদান ১৫ বল খেলে মাত্র ৯ রান। মূলত তার এমন অদ্ভুত ব্যাটিংয়ের কারণেই শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি হেরেছে কলকাতা। যে কারণে ভক্ত-সমর্থকদের কাছে এখন রীতিমতো খলনায়কে পরিণত হয়েছেন রাসেল।
এমন জেতা ম্যাচ হারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে কলকাতার ভক্তদের কাছে তৎক্ষণাৎ ক্ষমা চেয়েছেন দলের মালিক শাহরুখ খান। পাশাপাশি দলের পারফরম্যান্সে নিজের রাগও প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘হতাশাজনক পারফরম্যান্স, এটা সবচেয়ে কম বলা হলো। কলকাতা নাইট রাইডার্স সকল ভক্তদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’
পরে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শাহরুখের এই রাগ-হতাশা ঠিকই আছে বলে জানিয়েছেন রাসেল। তবে এই এক পরাজয়েই সব শেষ মানতে রাজি নন এ ক্যারিবীয় তারকা অলরাউন্ডার। পরের ম্যাচগুলোতে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা ব্যক্ত করেছেন রাসেল।
ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ! আমি শাহরুখের টুইটকে সমর্থন করি। তবে দিন শেষে এটা ক্রিকেট খেলা। এখানে সব শেষ হওয়ার আপনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারবেন না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা এখনও আত্মবিশ্বাসী। আমরা দারুণ ক্রিকেট খেলেছি এবং ছেলেদের নিয়ে আমি গর্বিত। আমরা অবশ্যই হতাশ। তবে এখনই পথের শেষ নয়। মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ গেল। আমরা এখান থেকে শিখতে পারব।’
ব্যাটিংয়ে ভয়াবহ ভরাডুবির বিষয়ে রাসেল বলেছেন, ‘আমি মনে করি এটা অন্য একটা ক্রিকেট ম্যাচের মতোই ছিল। আমি অনেক অনেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছি এবং দেখেছি, যেখানে দলগুলো চালকের আসনেই থাকে এবং হুট করে বেশ কিছু উইকেট হারিয়ে ফেলে। তারপর নতুন ব্যাটসম্যানরা এসে আর কিছু করতে পারে না। আজকে ঠিক তাই হয়েছে।’