চলমান বিধিনিষেধের মধ্যেও সোমবার সকালে বায়ুর মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ সময় ঢাকার বায়ুর মান রেকর্ড হয়েছে ২৩৫ পিএম২.৫, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর ক্যাটাগরির। নানান ধরনের অসুখে ভোগা ব্যক্তিরা এ সময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।

বায়ুর মান শূন্য থেকে ৫০ পিএম২.৫ থাকলে সেটাকে বিশুদ্ধ বায়ু বলা হয়।

সোমবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৮টায় দ্য ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স প্রজেক্ট (একিউআইসিএন) এসব তথ্য দিয়েছে।

jagonews24

একিউআইসিএন এপ্রিলের প্রথম ৮ দিনের গড় বায়ুদূষণের তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, ৬ দিন বায়ুর মান ছিল অস্বাস্থ্যকর (১৫০ থেকে ২০০ পিএম২.৫) এবং দুই দিন ছিল খুবই অস্বাস্থ্যকর (২০১ থেকে ৩০০ পিএম২.৫)।

অবশ্য সকাল ৯টার দিকে বায়ুর মানের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। একিউআইসিএন বলছে, সকাল ৯টায় ঢাকার বায়ুর মান ১২৭ পিএম২.৫, যা অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ের। অর্থাৎ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ থেকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে উন্নতি হয়েছে ১ ঘণ্টার ব্যবধানে।

jagonews24

করোনা সংক্রমণ শুরুর পর গত বছর লকডাউন দেয়া হলে মানুষের বাইরে বের হওয়াসহ শিল্প-কলকারখানা বন্ধ হয়। ফলে ওই সময় অতি দূষিত ঢাকার বায়ুর মান বেশ ভালো হয়ে যায়। পাশাপাশি দেশের অন্যান্য অঞ্চলের বায়ুর মানেও উন্নতি ঘটে। তারপর লকডাউন উঠে গেলে ফের দূষিত হতে শুরু করে দেশের বায়ু।

সংক্রমণ বাড়ায় প্রায় এক বছর পর ফের দেশে চলাচলে নানান বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। কিন্তু এতে শিল্প-কলকারখানা বন্ধ হয়নি। চলমান রয়েছে উন্নয়ন কাজও। বন্ধ হয়নি মানুষের বাইরে বের হওয়া। দোকান-পাট, যানবাহনও চলছে সীমিত পরিসরে। ফলে বিধিনিষেধ দিলেও বায়ুর মানে তেমন উন্নতি হয়নি।