আর মাত্র একদিন পরেই শেষ হচ্ছে বইমেলা। কোথায় ক্রেতা-বিক্রেতায় পরিপূর্ণ থাকবে মেলা- তা না হয়ে মেলাজুড়ে বিরাজ করছে নিস্তব্ধতা আর শূন্যতা।
রোববার (১১ এপ্রিল) শাহবাগের বইমেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, ফাঁকা স্টলগুলোতে অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা। হাতেগোনা কয়েকজনকে দেখা গেলেও তাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন স্টলে শুধু বই দেখছেন। বেলা ১২টায় মেলা শুরু হলেও দুপুর ২টা পর্যন্ত পাঠক সমাগম দেখা যায়নি।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বর্ধিত অংশে অবস্থিত সুলেখা প্রকাশনীর স্টলের মালিক কামরুল হাসান বলেন, এবারের মেলা নিয়ম রক্ষা ও গুটিকয়েক প্রকাশকের ব্যবসা রক্ষার বইমেলা হলো। এবার মেলাটা না হলেই ভালো হতো।
বেহুলা বাংলা প্রকাশনীর বিক্রয় প্রতিনিধি নায়না আফসিন জানান, আগামীকাল মেলা শেষ হবে অথচ আজকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চললো এখনো মেলা জমে উঠেনি। আমি টানা সাত বছর বইমেলার স্টলে বিক্রয় প্রতিনিধির কাজ করে আসছি। বিগত বছরগুলোতে মেলার শেষ সপ্তাহে যে ব্যস্ততা থাকে, এবার মেলা শেষ হওয়ার আগের দিন এসেও তা প্রায় সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র।
কাকলী প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী শহিদ বলেন, দেশের পরিস্থিতি ভালো না। এ কারণে পাঠকদের সাড়া নেই। মূলত এ বছর মেলা হয়েছে প্রকাশকদের মেলা; পাঠকদের মেলা হয়নি। পাঠক আসার মতো পরিবেশই হয়নি। পাঠক আসে ৫টার পরে কিন্তু সে সময় তো বন্ধ থাকছে। আমরা এবার হতাশাগ্রস্ত।
মেলায় আসা বেশিরভাগ পাঠক এসেছেন ঘুরতে। কয়েকজন এসেছেন শেষ বেলায় প্রয়োজনীয় বই কিনে নিতে। তীব্র রোদে কাহিল হয়ে বেশিরভাগই ছায়া খুঁজে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। মেলার ‘লেখক বলছি’ মঞ্চে গিয়ে দেখা যায়, রোদে ক্লান্ত পাঠকরা বিশ্রাম নিচ্ছেন।
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে চলমান বইমেলা এবার নির্ধারিত সময়ের দুই দিন আগেই আগামীকাল সোমবার শেষ হচ্ছে।