করোনাভাইরাসের বিস্তার ও সংক্রমণ রোধে এ সময় সচেতন থাকা জরুরি। ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখলেও, আপনি যে খাবার বাজার থেকে কিনে খাচ্ছেন, সেটি সুরক্ষিত তো! এ বিষয়ে কখনো ভেবেছেন কি?

এ সময় বাজার থেকে যেসব খাদ্যদ্রব্য কিনবেন, সেগুলো বাড়িতে এসে পরিষ্কার করতে হবে। কারণ খাবারের প্যাকেজিং থেকে শুরু করে ফল-শাক-সবজি সবকিছুতেই করোনার জীবাণু থাকতে পারে।

বেশ কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত খাবারের সারফেসে করোনাভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে। তাই বাজার করার পর বিভিন্ন পণ্য ও খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেজিং এমনকি শাক-সবজিও পরিষ্কার করা জরুরি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনাকালে বাজার থেকে কেনা খাবার দীর্ঘক্ষণ ধরে চলমান পানির নিচে রেখে দিতে হবে। তাহলে ভাইরাস ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে শাক-সবজি বা ফল-মূলে জীবাণুনাশক ব্যবহার করা যাবে না। সরকারি বেশ কিছু নির্দেশনাও আছে এ বিষয়ে, জেনে নিন সেগুলো-

>> রান্না করা খাবারের মাধ্যমে করোনায় সংক্রিমত হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাবার রান্নার সময় এ ভাইরাস মরে যায়।

>> বিশেষ করে কাঁচা শাক-সবজি ও ফল-মূলে করোনাভাইরাস থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ বিভিন্ন ক্রেতারা ফল বা সবজি হাত দিয়ে সম্পর্শ করে থাকেন।

>> বাজার থেকে কেনা সবজি ও ফল খাওয়ার আগে ভালো করে লবণ ও গরম পানিতে ধুয়ে নিন।

>> কাঁচা বাজারের ক্ষেত্রে সবকিছু ট্যাপের নিচে পানি ছেড়ে রেখে দিন ২-৩ ঘণ্টা।

jagonews24

>> প্লাস্টিকের প্যাকেট, টিনের বা কাঁচের পাত্রে থাকা খাবার ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্পর্শ না করাই ভালো। সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার করতে চাইলে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করুন।

>> পরিষ্কারক হিসেবে ব্লিচ ব্যবহার না করাই ভালো। এতে ক্ষতিকারক উপাদান থাকে। যা চোখে গেলে ক্ষতি হতে পারে।

>> বাজারে যাওয়ার আগে এবং বাজার থেকে ফিরে সাবান ও পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে ভালো করে হাত ধুতে হবে। গোসল করতে পপারলে সবচেয়ে ভালো।

>> বাজারের ব্যাগ নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন। প্রতিদিনই বাজারের ব্যাগটি ধুয়ে ফেলার অভ্যাস করুন। পলিথিনগুলো ডাস্টবিনে ফেলে দেবেন।

>> এ মুহূর্তে অর্থ লেনদেনের পর হাত ভালো করে জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

সূত্র: বিবিসি