যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশের চেষ্টার সময় এক দুর্বৃত্তের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ক্যাপিটল পুলিশের এক কর্মকর্তা, আহত হয়েছেন আরও একজন। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে হামলাকারীও। মার্কিন প্রাশসন এটিকে সন্ত্রাসী হামলা বলতে নারাজ। তবে দেশটির গোয়েন্দা বাহিনীর ওপর ক্ষোভ থেকেই ওই ব্যক্তি ক্যাপিটল ভবনে হামলার চেষ্টা করেন বলে জানা যাচ্ছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবর অনুসারে, সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম নোয়াহ গ্রিন। শুক্রবার হামলার আগে তিনি চাকরি হারানো, চিকিৎসা করাতে না পারার মতো ঘটনা উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্ট করেছিলেন।

গ্রিন বিশ্বাস করতেন, মার্কিন প্রশাসন তার ‘মাইন্ড কন্ট্রোল’ করছে। এছাড়া, হামলার মাত্র ঘণ্টা দুয়েক আগে ইনস্টাগ্রামে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কয়েকটি ‘স্টোরি’ শেয়ার করেন তিনি, যেখানে মার্কিন ধর্মীয় নেতা লুইস ফাররাখানকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়।

গ্রিনের শেয়ার করা একটি ভিডিওর ক্যাপশন ছিল, মার্কিন সরকার কৃষ্ণাঙ্গদের এক নম্বর শত্রু।

কিছুদিন আগে ইনস্টাগ্রামের আরেক পোস্টে এ যুবক লিখেছিলেন, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এবং এফবিআইয়ের মাধ্যমে ভয়ংকর দুর্ভোগের পরে ফাররাখান তাকে রক্ষা করেছেন। ওই পোস্টের এক কমেন্টে গ্রিন জানান, বাড়িতে একাধিকবার অনুপ্রবেশ, খাবারে বিষক্রিয়া, হামলা, হাসপাতালে অননুমোদিত অস্ত্রোপচার এবং চিন্তাশক্তি প্রভাবিত (মাইন্ড কন্ট্রোল) করার শিকার হয়েছেন তিনি।

জানা যায়, ২৫ বছর বয়সী নোয়াহ গ্রিন ২০১৯ সালে ভার্জিনিয়ার ক্রিস্টোফার নিউপোর্ট ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন করেছেন। তিনি পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ভার্জিনিয়ার ড্রাইভিং লাইসেন্সও ছিল তার।

নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেয়া এক পোস্টে গ্রিন জনিয়েছিলেন, তিনি ‘অজ্ঞাতসারে’ মাদক নিচ্ছিলেন এবং এর জন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হচ্ছিল। গ্রিনের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট শুক্রবার বিকেল থেকে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গত মাসে ফেসবুকের আরেক পোস্ট থেকে জানা যায়, এ যুবক ফাররাখানকে ‘যিশু’ বলে মানতেন। তার কথায়, ‘ফাররাখান আমার জাগরণ ও কাজকর্মের সহায়ক’।

লুইস ফাররাখান ‘ন্যাশন অব ইসলাম’ নামে একটি বিতর্কিত ধর্মীয় গোষ্ঠীর নেতা। গোষ্ঠীটি নিজেদের ইসলাম ধর্মের একটি শাখা দাবি করলেও তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে মূলধারার ইসলামের ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।