হেফাজতে ইসলামের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম এলাকায় নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আজ শুক্রবার (২ এপ্রিল) জুমার নামাজের আগে বায়তুল মোকাররম এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সরেজমিনে, পল্টন মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া বায়তুল মোকাররম এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। কাউকে সন্দেহ হলে তাকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট ও পশ্চিম পাশে অবস্থান করছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) সদস্যরা। বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটের ভেতরেও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া পুরানা পল্টনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাঁজোয়াযানসহ প্রিজনভ্যান।

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনে প্রতিবাদে গত শুক্রবার বায়তুল মোকাররমে হেফাজত নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বায়তুল মোকাররম এলাকা। ওইদিন জুমার নামাজের পরপরই বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। মোদিবিরোধী মিছিলে উত্তাল বায়তুল মোকাররম এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

পরে সেই সংঘর্ষের রেশ ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে। হাটহাজারী, ঢাকা ও ব্র্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজত নেতাকর্মী ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা ব্যাপক বিক্ষোভ-ভাঙচুর ও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার শুরু হওয়া সেই সংঘর্ষ এর পরের তিন দিনও অব্যাহত থাকে। নজিরবিহীন এই সংঘাতে অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি ঘটে। যদিও হেফাজতের দাবি, নিহতের সংখ্যা ১৮ জন। গত রবিবার (২৮ মার্চ) দিনব্যাপী সহিংস হরতাল পালন শেষে বিকেলে রাজধানীর পল্টনে হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী আজকের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।