বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন ভবনের সপ্তম তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসেন সোমবার (২২ মার্চ) বিকেল তিনটা ৪৫ মিনিটের দিকে আগুন লাগা ভবনের পাশে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, সোমবার দুপুর একটা ৩৫ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে থাকা একটি ডিউটিরত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটকে প্রথমে পাঠানো হয়। এরপর কয়েক দফায় মোট ১৩টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পাঠানো হয়। সর্বশেষ বিকেল সাড়ে তিনটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ইনশাআল্লাহ আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন আর ছড়ানোর শঙ্কা নেই। আমাদের ফায়ার কর্মীরা কাজ করছেন।
ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের মহাপরিচালক বলেন, যেহেতু আগুনের ঘটনা ঘটেছে একটি গোডাউনে। সেখানে কাগজপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র রয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও পুরোপুরি অগ্নিনির্বাপণের ক্ষেত্রে আরও বেশকিছু সময় লাগবে। তারপরে আমরা বলতে পারবো আগুনের সূত্রপাতের কারণ কী ছিল।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা আগুন লাগার খবরের পর থেকেই আগুন নেভানোর কাজেই ব্যস্ত রয়েছি। আগুন লাগার কারণ ঠিক কী ছিল তা জানি না। আমাদের ১৩টি ইউনিট কাজ করছে, জনবল আছে ১০০ এর বেশি। আগুন পুরোপুরি নির্বাপণের পর আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে, তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ভবনটি যেহেতু পাটকল করপোরেশনের। তারাই বলতে পারবে ওই গোডাউনটি কার বা কারা ব্যবহার করছিল। সেখানে কাগজপত্র ছাড়াও আর কী কী ছিল সেটাও দেখা হবে। ভবনটি পুরাতন। ভবনে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল জেনেছি তবে তা কী অবস্থায় ছিল তা জানি না। খতিয়ে দেখা হবে।
ভেতরে কেউ আটকা পড়েছে কি-না বা হতাহতের কোনো তথ্য রয়েছে কি-না জানতে চাইলে সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত হতাহত কিংবা আটকা পড়ে থাকার কোনো তথ্য নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে আগুন নির্বাপিত হলে সার্চ করবো কেউ হতাহত রয়েছেন কি-না।
আগুন নিয়ন্ত্রণ হলেও প্রচুর ধোঁয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, কাগজপত্র থাকায় আগুন দ্রুত লেগেছে, পানি দেয়ায় আগুন নিভেছে তবে ধোঁয়া হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, আনসার, রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক, ওয়াসা ও বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করে।