জাতীয় পার্টির (জাপা) বর্তমান অবস্থা বিধ্বস্ত। যিনি দায়িত্বে আছেন তিনিও নড়াচড়া করেন না। অঙ্গসংগঠনগুলোর অবস্থাও ভালো না। মহান আল্লাহ জানেন এ দলের কী হবে বলেছেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা এরশাদ।
সোমবার (২২ মার্চ) প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কবর জিয়ারতের জন্য রংপুরের দর্শনা মোড়ের পল্লী নিবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতার যে স্বপ্ন ছিল তা ধ্বংসের পথে। এর আগেও আমি বলেছিলাম জাপা লাইফ সাপোর্টে। আজও বলছি দলের অবস্থা এখন বিধ্বস্ত। তৃণমূলকে সংগঠিত করার জন্য মাঠে নেমেছি।’
বিদিশা বলেন, ‘এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে যেভাবে অনুষ্ঠান করা উচিৎ ছিল তা করা হয়নি। যারা এসব দায়িত্বে ছিলেন তারা দায়সারাভাবে দিবসটি পালন করেছেন। আমরা এখানে মাসব্যাপী কর্মসূচি দিয়ে তা পালন করছি।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে নতুন করে জাপাকে সাজিয়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বিদিশা বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে জাপাকে নতুন করে গড়ে তুলতে চাই। সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি। মাঠে নেমে কাজ করছি। এখানে ছেলেকে নিয়ে কবর জিয়ারত করতে এসেছি।’
বর্তমান নেতৃত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রয়াত এরশাদের গড়া সম্মিলিত জাতীয় জোটকে বর্তমান জাপার চেয়ারম্যান প্রয়োজন বোধ করেন না। উনি কাউকে প্রয়োজন মনে করেন না। নিজে যা ভাবেন তাই করেন। আগামীতে কী হতে হচ্ছে তা দ্রুত দেখতে পারবেন।,
তিনি আরও বলেন, ‘রংপুরবাসী চাইলে আমি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো। তৃণমূল নেতাকর্মীরা যদি ঐক্যবদ্ধ থেকে আমাকে চায় আমি ভোটে অংশগ্রহণ করবো। আমার নেতৃত্ব যদি সাধারণ মানুষ মেনে নেয় তাহলে আমি প্রস্তুত।’
এর আগে সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর এয়ারপোর্টে নেমে সড়কপথে রংপুরে আসেন তিনি বিদিশা এরশাদ। কবর জিয়ারত শেষে এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। পরে অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ করেন বিদিশাসহ সম্মিলিত জাতীয় জোটের নেতৃবৃন্দ।
এ সময় এরশাদপুত্র শাহতা জারাব এরিক এরশাদ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ও সম্মিলিত জাতীয় জোটের কেন্দ্রীয় নেতা শেখ শহিদুজ্জামান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ, মহাসচিব আকতার হোসেন, পরিচালক অ্যাডভোকেট রুবায়েত হাসান ও প্রেস সচিব এএসএম সায়েম সাকলায়েম উপস্থিত ছিলেন।