দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর শূন্য পদে ২ হাজার ১৫৫ জন শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) থেকে সুপারিশ প্রাপ্তদের যোগদান কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

জানা যায়, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর পিএসসি থেকে ২ হাজার ১৫৫ জনকে সরকারি মাধ্যমিকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে। এরপর তাদের ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য সংগ্রহে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পুলিশ ভ্যারিফিকেশনের কাজ শুরু করা হয়। সম্প্রতি তাদের যোগদান শুরু করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত চাওয়া হয়। যোগদান পাওয়ার ৫ বছর পর এসব শিক্ষকরা বিএড সম্পন্ন করবে। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত পেলে সুপারিশপ্রাপ্তদের যোগদান শুরু করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দেশের ৩১৯টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে সর্বশেষ ২০১১ সালে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। এরপর থেকে বিসিএস নন-ক্যাডারদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছিল। তবে বিসিএস নন-ক্যাডার থেকে স্কুলগুলোর জন্য বিষয়ভিত্তিক পর্যাপ্ত শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছিল না। এছাড়াও বিসিএসের নন-ক্যাডার থেকে যারা শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়ে আসেন, তাদের বেশিরভাগই পরে অন্য চাকরিতে চলে যান। এতে বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষক সঙ্কট থেকেই যায়। মুজিববর্ষ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষক শূন্য রাখা হবে না সরকারের এমন ঘোষণার প্রেক্ষিতে এককভাবে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে পিএসসি।

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে তার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর মৌখিক পরীক্ষা নেয়ার পরে ২৯ ডিসেম্বর পিএসসি তাদের নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (সরকারি বিদ্যালয়) নাজমুল হক বলেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে পিএসসির সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগ দেয়া হবে। এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে। সেটি পেলে যোগদান কার্যক্রম শুরু করা হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ২০২০ সাল পর্যন্ত শূন্য আসনে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। তার সঙ্গে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কি পরিমাণ শিক্ষক শূন্য হতে পারে তার তালিকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর থেকে চাওয়া হয়েছে। পরবর্তী বিসিএস পরীক্ষার নন-ক্যাডার থেকে সেসব পদে নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।