আজ ২রা মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় আয়োজিত এক ছাত্র সমাবেশে ডাকসুর সহসভাপতি আ স ম আবদুর রব উত্তোলন করেছিলেন সবুজ জমিনের ওপর লাল বৃত্তের মাঝখানে সোনালি মানচিত্র খচিত বাংলাদেশের প্রথম পতাকা।

বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলনের পরের দিন ৩রা মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মোহাম্মদ শাজাহান সিরাজ। পরে ২৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম নিজ হাতে ধানমন্ডিতে তার নিজ বাসভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। বিদেশের মাটিতে ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশ মিশনে ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল সর্বপ্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

অন্যায় অবিচারের প্রতিবাদে ৫০ বছর আগে লাখো জনতার ক্ষোভের মুখে আশার জাগরণ নিয়ে আসে লাল সবুজে মোড়ানো বাংলাদেশের মানচিত্র।

তৎকালীন ছাত্রনেতা আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্র জনসভা হয়। ২রা ৩রা ও ৪ঠা মার্চ হরতাল-কারফিউ। সরকার দিয়েছে কারফিউ আমরা দিয়েছি হরতাল।’

তিনি আরো বলেন, ‘আজ এই ছবির দিকে তাকালে মনে হয় আমরা এই কাজ করে ছিলাম আর এর কারণেই দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে কিছু হয়নি। আমার সাথে তো অনেক স্মৃতি। আমি বলে শেষ করতে পারবো না।’

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ধমণ, শোষণ, অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে তৎকালীন ডাকসু নেতাদের উদ্যোগে ২রা মার্চ সাড়া দিয়েছিলের আমজনতা। প্রকৃতপক্ষে সেদিনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি ছাত্র-জনতা স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিমন্ত্রে উজ্জীবিত হয় এবং স্বাধীনতা অর্জনের পথে যাত্রা শুরু করে। পতাকা উত্তোলনই জানান দেয় স্বাধীন বাংলাদেশের বিকল্প নেই। দীর্ঘ ৯ মাসের বহু ত্যাগ, রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতা সংগ্রামের ৯ মাস এই পতাকাই বিবেচিত হয় আমাদের জাতীয় পতাকা হিসেবে।