আওয়ামী লীগের আলোচিত সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আমার চলে যাওয়ার সময় এসেছে। আমি প্রতিদিন মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকি। গতকাল ষাট বছরে পা দিয়েছি। জীবনটা খুব ছোট। জীবন একবারের জন্যই আসে দুইবার আসে না। তো আমি এই জীবনটাতে কী করলাম।

সোমবার (১ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে তিনি এই কথা বলেন।

নিজের মৃত্যুর আরও ১৬ বছর আগে হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার ডানে বায়ে যারা ছিল সবাই মারা গেছে। আমি যে সাক্ষী দিয়েছি সে সাক্ষীও বদলে দেয়া হয়েছে এবং সেটা আমার সরকারের আমলেই। আমি কোর্টে তা ডিনাই করে এসেছি।

এখন গাছের পাতায় পাতায় আওয়ামী লীগ বিরাজ করে উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, এটা খুবই বিপদজনক ব্যাপার। এটা যদি রাজনীতিবিদদের হাতে থাকত তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু এটা যদি প্রফেশন হয়ে যায় তাহলে খুব মারাত্মক ব্যাপার। আমি মনে করি প্রফেশনাল হিসেবে যারা আছেন তাদের সবচেয়ে বড় কাজ হচ্ছে আপনার প্রফেশনে আপনি সাকসেসফুল কিনা সেটা লক্ষ্য রাখা। আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড কী সেটা দেখার দরকার নেই। শুধু একটা জিনিস দেখতে হবে যে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি কিনা।

শামীম ওসমান বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুই ধরনের মানুষ আছে। একধরনের মানুষ আবেগ দিয়ে রাজনীতি করে। আরেক ধরনের মানুষ তাদের মাথার বুদ্ধি দিয়ে। যারা আবেগ দিয়ে করে তাদের জন্য রাজনীতিটা খুব কঠিন হয়ে যায়। আবেগ না থাকলে কোন মুক্তিযোদ্ধা কী যেত যুদ্ধ করতে। বাঁশে দা কুড়াল নিয়ে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়েছিল তারা। আমি দেখেছি আমার বাবা যখন নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বল্লম দা নিয়ে তারা উদ্যত হয়েছিল। একজন বঙ্গবন্ধুর কারণেই এই বিষয়টা সম্ভব হয়েছে।