কারাবন্দি লেখক মুশতাক আহামেদকে ‘হত্যা’ ও ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকতের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এই বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের নামে কালো আইনের মাধ্যমে সরকার তাদের ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতে চায়। কেউ যেনো এই মাফিয়া সরকারের নানান দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে না পারে, সেই জন্যই এই অবৈধ সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট তৈরি করে মানুষের মুখ বন্ধ রাখতে চায়। মানুষের মুখ আর বেশিদিন বন্ধ রাখা যাবেনা। মানুষ শিগগিরই এসব অন্যায় অত্যাচারের সমুচিত জবাব দিবে।’
এই সময় তিনি মুশতাক আহমেদের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই ভোট চোর সরকার তাদের বিরোধী মতকে গায়েল করার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের নামে কালো আইন প্রণয়ন করেছে। যার শিকার মুশতাক আহামেদ। তাই এই কালো আইন বাতিল করতে হবে। মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলর মিছিলে পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে এই ছাত্রদল নেতা বলেন, ‘হামলা-মামলা দিয়ে আন্দোলন দমন করা যাবে না। ছাত্রদল রাজপথে আছে, রাজপথে থাকবে। ছাত্রদল বাংলাদেশের মানুষকে সাথে নিয়ে এই মাফিয়া সরকারকে বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে ছাড়বে।’ এই সময় তিনি আটক ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবি করেন ।
শাখা ছাত্রদলের এই বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন জাবি শাখা ছাত্রদলের নেতা সাইফুল ইসলাম সাগর, সেলিম রেজা, আব্দুল কাদের মার্জুক, রাকিবুল হাসান শুভ, ইকবাল হোসাইন, জুয়েল আহম্মেদ তালুকদার, ইব্রাহিম খলীল আপন, আমিন আল-রাজি, নাইমুল হাসান কৌশিক, আহমদ উল্লাহ, জহির উদ্দীন, রফিকুল ইসলাম, আবু রায়হান, মো. হাসান, দেওয়ান আলাউদ্দিন, রাজু আহমদ রাজনসহ প্রমুখ।