ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে থেকে মৃত্যুবরণ করা লেখক মুশতাক আহমেদকে কারাগারে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মুশতাকের মৃত্যুতে গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন অনিময়-অসঙ্গতি নিয়ে স্বাধীনচেতা মানুষ অভিমত ও বিশ্লেষণ করবে এটাই স্বাভাবিক। এটা গণতান্ত্রিক বিশ্বে সর্বজনস্বীকৃত।

কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে কেউ যাতে কোনো সমালোচনা করতে না পারে তার জন্য নানা আইন কানুনের মাধ্যমে ফেসবুকে মন্তব্য করা বা পোস্ট করা বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যারা স্বাধীনভাবে নিজের মত প্রকাশের চেষ্টা করছে তাদের জীবনে নেমে আসছে ভয়ঙ্কর দুর্বিষহ পরিণতি। হয় তাদের গুমের শিকার হতে হচ্ছে নতুবা সরকারি হেফাজতে প্রাণ দিতে হচ্ছে। তার সবশেষ নির্মম শিকার হলেন মুশতাক আহমেদ।

ফখরুল বলেন, মূলত মুশতাক আহমেদকে কারাগারে অবর্ণনীয় নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মুশতাক লুটপাটকারী কিংবা কালোবাজারি, সন্ত্রাসী ও ডাকাত ছিলেন না। ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের মেধাবী ছাত্র মুশতাক আহমেদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে গিয়ে অকালে তার জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে দেওয়া হলো। মুশতাকের এই নির্ভিক আত্মদানের মধ্য দিয়েই দেশের তরুণ সমাজ জেগে উঠবে এবং দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও নাগরিক স্বাধীনতাসহ সুশাসন ও আইনের শাসন ফিরে আসবে।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দেশে আইন-কানুন, সুষ্ঠু বিচারিক ব্যবস্থা না থাকার কারণেই এক সন্ত্রাসী পরিবেশ বিরাজ করছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই। সরকারের বিরুদ্ধে সত্য সমালোচনাতেও তারা আঁতকে ওঠে। রাষ্ট্রের সব অঙ্গকে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে রূপান্তর করা হয়েছে।