নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে দলীয় কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি এবং বহিষ্কারের সুপারিশ নিয়ে বিবাদে জড়িয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম এবং সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী।

জেলা সভাপতি সেলিম গণমাধ্যমকে কাদের মির্জার অব্যাহতি ও বহিষ্কারের সুপারিশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও একরামুল করিম চৌধুরী অব্যাহতি এবং বহিষ্কারের সুপারিশ বহাল বলে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে এসে জানিয়েছেন।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ২৭ মিনিটে একরামুল করিম চৌধুরী লাইভে এসে বলেন, ‘নোয়াখালীবাসী আসালামুআলাইকুম। সেলিম ভাই ঢাকা থেকে এসে বলল মির্জার বিরুদ্ধে একটা ব্যবস্থা নেয়া দরকার। সে মোতাবেক আমরা মির্জার বিরুদ্ধে একটা অবস্থান নিছি। এখন ইয়েতে বলতেছে এটা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। কিন্তু আমি আপনাদের বলতে পারি আমার জানা মতে, আমি জানি না, কারণ একটা লোক অপরাধী যে নোয়াখালীতে না, সারাদেশে আওয়ামী লীগকে ছোট করেছে; তাকে তো ছাড়া যায় না। তার বিরুদ্ধে আমরা অবস্থান নিয়েছি। আমার সভাপতি কী অবস্থানে আছেন জানি না, ওনি নাকি বলতেছেন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’

তিনি সভাপতিকে নীতিহীন আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘ওনার অবস্থান, উনি আমাকে দিয়ে নির্দেশনা করল পরে উনি অবস্থান থেকে সরে দাড়াঁলো উনিও নীতিগতভাবে নীতিহীন হয়ে গেল। আমি আপনাদেরকে বলি, ওনার অব্যাহতি আমরা অব্যাহত রেখেছি। বিভিন্ন জায়গায় সেসব কথাবার্তা হচ্ছে এগুলো ঠিক না। কারণ এ ধরনের লোককে দলের অবস্থানে রাখা উচিত না। তার অব্যাহতিটা বহাল রইল। সকলকে ধন্যবাদ। আসালামুআলাইকুম।’

এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে জেলা আওয়মী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম বলেন, ‘আমি নীতিহীন, উনি নীতিবান হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। রাজনীতি ওনাদের ব্যবসা, আমি একরামুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে একমত নই। প্রধানমন্ত্রী এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।‘

উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি ও বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু দুই ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, নোয়াখালী আওয়ামী লীগে শৃঙ্খলার স্বার্থে আদেশটি প্রত্যাহার করা হলো।