নির্ধারিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করা সম্ভব না হওয়ায় এবার প্রাথমিকের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্কুল খোলার পর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়িয়ে পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে। তবে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ক্ষেত্রে বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জি এম হাসিবুল আলম বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বলেন, নিয়ম অনুযায়ী যেহেতু ১ জানুয়ারি থেকে স্কুল খোলা সম্ভব হয়নি, সে কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী মার্চ থেকে পড়ানো যায় এমন একটি গাইডলাইন তৈরিতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিকে (নেপ) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা একটি নমুনা তৈরি করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি) পাঠিয়েছে। ইতিমধ্যে এনসিটিবি সে গাইড লাইন অনুযায়ী কাজ শুরু করেছে।

সচিব আরও বলেন, এ বছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের উপর ভিত্তি করে ক্লাস ও পরীক্ষা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।

এদিকে মহামারির কারণে ২০২০ সালে সব শ্রেণিতে অটো প্রমোশন দেওয়া হয়। জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা না নিয়েই গড়ের ভিত্তিতে দেয়া হয় সনদ। আবার জেএসসি-এসএসসির ফলের গড় করে বিশেষ মূল্যায়নের মাধ্যমে ফল দেওয়া হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার।

করোনা ছোবলে গত বছরের শিক্ষাবর্ষ যখন তছনছ, ঠিক তখনই সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এরই মধ্যে পরিমার্জিত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করেছে শিক্ষাবোর্ড। বলা হয়েছে, পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের এসএসসির ৬০ কর্মদিবস এবং এইচএসসির ৮৪ কর্মদিবস শ্রেণিকক্ষে সরাসরি ক্লাস নেওয়া হবে। ওই সময়টুকুতে যতটুকু পড়ানো হবে, পরীক্ষায় ততোটুকুর উপরই প্রশ্ন হবে।