রাজধানীর গুলশানে অনলাইন শপিং মেলায় অংশ নেয়া ১৯ অনলাইন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর। তাদের বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির প্রমাণ পেয়েছে গোয়েন্দারা।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- সানাহ শরিফ, মারাভ বাই নাজিয়া, আবহমান বাই রাফিয়া, লা ডিমোরা, মেরি নেশন, লাহা, সুজানাজ, সোনিয়া মমতাজ, হ্যাভেনলি ডেজার, রেড চেরি, তাইয়াবাজ ক্লোজেট, সামার বাই সানজিদা, জাইয়ানা বাই সুমনা, এফএসকে ফ্যাশন, হোয়াইট ব্লজম, সুজানাজ ক্লোজেট, মহুয়া শরফুদ্দিন, হেনা এবং শারকিয়া।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের (মূল্য সংযোজন কর) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, গুলশান ১ নম্বরে ‘ও প্লে’ নামের একটি রেস্টুরেন্টে গত শুক্রবার ১২ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী মেলা চলছিল। সেখানে অংশ নিয়েছিল ১৯টি অনলাইন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে ভ্যাট গোয়েন্দা দল সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। মেলায় অংশ নেয়া সবগুলো স্টলের মালিকের অনলাইন বিক্রয়ের নিজস্ব ফেসবুক পেজ রয়েছে। তারা প্রত্যেকে প্রদর্শনী করে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে। মেলায় অংশ নেয়া স্টলের মধ্যে মহিলাদের ড্রেস ও জুয়েলারির সামগ্রী বেশি।

ভ্যাট গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, মেলায় অংশ নেয়া ১৯টির মধ্যে মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট নিবন্ধন রয়েছে। তবে তারা নিয়মিত ভ্যাট ও রিটার্ন পরিশোধ করেন না। বাকি ১৭টির কোনো ভ্যাট নিবন্ধনই নেই। ভ্যাট আইন অনুসারে ভ্যাট নিবন্ধন না নিয়ে কোনো ব্যবসা পরিচালনা করা যায় না। অনলাইন কেনাকাটায় ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রযোজ্য এবং প্রতি মাসের হিসাব পরিবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে ভ্যাট অফিসে রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।

ভ্যাট গোয়েন্দার সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গুলশানে এর আগেও দুই বার একই রকম মেলা আয়োজন করেছিল। তখনও ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়াই পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে।

মুহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ভ্যাট গোয়েন্দা দল আইন লঙ্ঘনের কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ ও ঢাকা পশ্চিম কমিশনারের কাছে সুপারিশ করেছে। আজ এই সংক্রান্ত চিঠি জারি করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদফতর।