দেশের সব সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার অনলাইনে আবেদন গ্রহণ বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়েছে। আবেদন শুরুর সঙ্গে সঙ্গে টেলিটকের মাধ্যমে নির্দিষ্ট অঙ্কের ফি জমা দিয়ে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে অনলাইনে আবেদনকারীর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে।

আবেদন শুরুর প্রথম চার ঘণ্টায় ৩৫ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়ে। সর্বোচ্চ ভর্তিচ্ছু ছয় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর আবেদন জমা পড়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজে এবং সর্বনিম্ন শতাধিক গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজে।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহসান হাবিব এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রথম কয়েক ঘণ্টায় বিপুল সংখ্যক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর আবেদন জমে পড়ে। বিকেল নাগাদ আবেদন জমা পড়ে ৩৫ হাজারেরও বেশি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে কেন্দ্রীয়ভাবে রাজধানীসহ সারাদেশে আগামী ২ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে এমবিবিএস কোর্সের এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশে বর্তমানে সরকারিভাবে পরিচালিত ৩৭টি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীর আসন সংখ্যা চার হাজার ৩৫০টি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৪১২টি আবেদন জমা পড়ে। বিভিন্ন মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু আবেদনকারির সংখ্যা যথাক্রমে ঢাকা মেডিকেলে ছয় হাজার ৩০৬ জন, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে এক হাজার ৬২১ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চার হাজার ৯৬২ জন, ময়মনসিংহে তিন হাজার ৬১৯ জন, চট্টগ্রামে দুই হাজার ৩৯২ জন, রাজশাহীতে দুই হাজার ২৭১ জন, সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজে ৮৪৯ জন, বরিশালে ৪৬৮ জন, রংপুরে দুই হাজার ৩৮৩ জন, কুমিল্লায় এক হাজার ৪২৩ জন, খুলনায় এক হাজার ৫৮৭ জন, বগুড়া শহীদ জিয়ায় এক হাজার ৩০২ জন, ফরিদপুরে ৩৮৪ জন, দিনাজপুরে ৪৭৮ জন, পাবনায় ৪৭৮ জন, কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলামে ৫৫৮ জন, গোপালগঞ্জে শেখ সায়েরা খাতুনে ১২৭ জন, মুগদায় দুই হাজার ২৩১ জন এবং ঢাকা ডেন্টালে এক হাজার ৬১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, মহামারি করোনার কারণে এ বছর এইচএসসিতে অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীকে আগের ফলাফল, অর্থাৎ জেএসএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল (অটোপাস) দেয়া হয়। ফলে এ বছর রেকর্ডসংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। তাই এ বছর স্বাস্থ্য অধিদফতর আপাতত ১ লাখ ২১ হাজার পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে, এমনটা মাথায় রেখে পরীক্ষা গ্রহণের পরিকল্পনা করছে। প্রয়োজনে কেন্দ্রের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান তারা।