ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন দল গণফোরামে মিটেনি বিরোধ। তারই জেরে সম্প্রতি দলটির সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া পদত্যাগ করলেন। একটি সূত্র জানায়, ড. কামালসহ দুই অংশের ৫জন করে মোট ১১জন নেতা নিয়ে একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলেও সাংসদ মোকাব্বির খানের নাম তালিকায় সবার শীর্ষে দেওয়ায় এই বিরোধ তৈরি হয়।

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন দল গণফোরামে মিটেনি বিরোধ। তারই জেরে সম্প্রতি দলটির সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া পদত্যাগ করলেন।

একটি সূত্র জানায়, ড. কামালসহ দুই অংশের ৫জন করে মোট ১১জন নেতা নিয়ে একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলেও সাংসদ মোকাব্বির খানের নাম তালিকায় সবার শীর্ষে দেওয়ায় এই বিরোধ তৈরি হয়। মোস্তফা মহসিন মন্টু, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সায়িদসহ সিনিয়র সকল নেতারা এই লিস্ট মেনে নিতে পারেননি।

তারা মনে করেন, সাংসদ হওয়ায় মোকাব্বির খান নিজেকে সবার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন এবং তিনি আগামীতে দলের সভাপতিও হতে চাইছেন। এমনকি তার সমর্থকদেরও আমাদের আগে নাম এই তালিকায় দেয়া হয়েছে।

গণফোরামের পাশাপাশি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কর্মসূচি মনঃপূত না হওয়ায় ড. রেজা কিবরিয়া কয়েক মাস আগে থেকেই দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন। তার ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো থেকে জানা যায়, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার পাশাপাশি সারা দেশের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ও সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন রেজা কিবরিয়া। এছাড়া সীমান্তে হত্যা বন্ধে ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কঠোর বিবৃতি দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন তিনি।

কিন্তু তার এসব প্রস্তাবের কোনোটিই দল বা জোট গ্রহণ না করায় তিনি অসন্তুষ্ট হয়েছেন। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গণফোরামের দুই অংশের বিরোধ মেটানোর উদ্যোগে তিনি জড়িত হননি। তাছাড়া এগারো সদস্যের স্টিয়ারিং কমিটি দল পরিচালনা করলে সাধারণ সম্পাদকের ভূমিকাও অগুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। তাই সব দিক বিবেচনা করে সম্প্রতি ড. কামাল হোসেনের কাছে চিঠি দিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন বলে জানা গেছে। তবে চিঠিতে তিনি পদত্যাগের কারণ ‘ব্যক্তিগত’ বলে উল্লেখ করলেও ড. কামাল হোসেনকে অসম্মান করে কিছু বলেননি।