সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দেশের ছয়টি বিভাগে সমাবেশ কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়েছেন। সেই সাথে পাল্টা কর্মসূচী দিয়েছেন ক্ষমতাসীয় আওয়ামী লীগ সরকার।

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ ও গণসংযোগের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে দলটি। দেশের প্রধান দুই দলের পাল্টা পাল্টি কর্মসূচী ঘোষণার মধ্য দিয়ে আবারও রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভব থেকে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে দেশব্যাপী সমাবেশ ও গণসংযোগের কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দলের সব শাখা ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এ কর্মসূচি শুরু করবে। দলের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা স্ব স্ব বিভাগের কর্মসূচি সমন্বয় করবেন।

কাদের বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির এ সমাবেশের কর্মসূচি দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্র। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশের বিরাজমান স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিনষ্টের যেকোনো অপপ্রয়াস আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি বা ইস্যু নেই যে, বিএনপিকে আন্দোলন করতে হবে। যেকোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানায়। কিন্তু সমাবেশের নামে সহিংসতা সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শক্ত হাতে তা দমন করা হবে।