দুর্নীতি ও অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ করার জেরে দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক কাজী ফরিদকে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা।
জানা যায়, সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে ৫ পর্বের একটি ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পর সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) কাজী ফরিদের অফিসের ঠিকানায় কুরিয়ারের মাধ্যমে কাফনের কাপড় পাঠানো হয়। প্রেরক হিসেবে না লেখা হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী প্রক্টর মো. সুমন ইসলামের। এই ঘটনার পর সাংবাদিক কাজী ফরিদ বনানী থানায় একটি জিডি করেছেন।
জিডিতে করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়রাই পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা দুর্নীতি নিয়ে বৈশাখী টেলিভিশনে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খামে দুটি চিঠি আসে সাংবাদিক ফরিদের কাছে।
চিঠির প্রেরকের স্থলে নাম লেখা ছিল, মো. সুমন ইসলাম, সি. সহকারি প্রক্টর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর। মোবাইল নম্বর: ০১৭১২৬৮৩৮০৪। দুটি চিঠির একটি আমার নামে, আর অন্য একটি চিঠি বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক সাইফুল ইসলামের নামে।
এছাড়া খাম দু’টির ভেতর সাদা কাগজে কম্পিউটার টাইপ করা চিঠিতে লেখা ছিল, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুণ অর রশিদ স্যার এবং সফল প্রক্টর তায়েহীদ জামাল শিপু স্যারের মত সৎ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্ষির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপ্রপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব ও করুণ পরিণতির জন্য তৈরি থাক, রাস্কেল।
জিডির বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আজম বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।