ভারতের বনগাঁর পেট্রাপোল অঞ্চলে শ্রমিকদের জীবন জীবিকা বাঁচাও কমিটি’র ডাকা কর্মবিরতিতে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি—রফতানি বানিজ্য বন্ধ রয়েছে।
গতকাল রবিবার ৩১ জানুয়ারি সকাল থেকে সোমবার(১ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর ও বাংলাদেশের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে সকল প্রকার আমদানি—রপ্তানি বানিজ্য বন্ধ রয়েছে। তবে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে আমদানি—রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় দুই বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় শত শত পণ্য বোঝায় ট্রাক আটকা পড়ে আছে। এতে ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের লোকসানের কবলে পড়েছেন।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় চার শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন পণ্য ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদনে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা বেনাপোল বন্দরে আসা—যাওয়া করতেন। কিন্তু সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সম্প্রতি নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে তাদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। এর ফলে পেট্রাপোল শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে আমদানি—রপ্তানি বানিজ্য বন্ধ আছে।
ভারতীয় সংগঠনটির ৫ দফা দাবির মধ্য রয়েছে, সাধারণ ব্যবসায়ী এবং মুদ্রা বিনিময়কারী পরিবহন, ক্লিয়ারিং ও ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট ও ট্রাকচালক সহকারীর ওপর বিএসএফ ও অন্যন্য এজেন্সির কর্তৃক নিরাপত্তার নামে অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। অবিলম্বে আগের মতো হ্যান্ডকুলি ও পরিবহন কুলিদের কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে।
বাণিজ্যিক স্বার্থে আগের মতো পণ্যবাহী চালক ও সহকারীদের হেঁটে পেট্রাপোল ও বেনাপোল স্থল বন্দরের মধ্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে। বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে যাওয়া পরিবহনের ট্রাকগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালি করার ব্যবস্থা করতে হবে। আধুনিকতার অজুহাতে বন্দরের শ্রমিকদের কর্মহীন করা চলবে না।