বাংলাদেশের পরিস্থিতি এতটাই খারপ যে এখন বিকল্প মত প্রকাশের সুযোগ নেই। দেশের মিডিয়া ও গণতন্ত্র রখন ক্ষমতাসীনদের দখলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে বিরোধীদল নির্মূলের কাজ করে আসছেন। যে দেশে হত্যা, গুম, ক্রসফায়ার আর লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা ও গায়েবী মামলা জীবনের অংশ হয় সেই দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল গড়ে তোলার কথা বলা বছরের শ্রেষ্ঠ ইয়ার্কি ছাড়া আর কিছুই নয়।
সোমোবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত দুপুর ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
গণতন্ত্রের স্বার্থে শক্তিশালী বিরোধী দল নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ বলে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ধরনের রসিকতা তার (প্রধানমন্ত্রী) রাজনীতির সংস্কৃতির অংশ। তিনি এমন অনেক কিছুই মাঝে মধ্যে বলে রসিকতা করে থাকেন।
তিনি ভুলে গেছেন যে, জনগণের ভোটে নয় তিনি শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা রাতের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন একটা আর করেন আরেকটা। তার কথা এখন শুধুই রসিকতা।
রিজভী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, আমি মানুষের শান্তি চাই। কিছুদিন আগেও একটি বিদেশি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমি আর প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না’। শেখ হাসিনা যতদিন জীবিত থাকবেন তাকে কেউ ততদিন প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে সরাতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রীর কথা এখন জনগণ বিশ্বাস করে না।