এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা ফরম পূরণের সময় যে অর্থ জমা দিয়েছিলেন, পরীক্ষা না হওয়ায় তার কিছু অংশ ফেরত পাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

পরীক্ষা ছাড়াই আগের পরীক্ষার ভিত্তিতে মূল্যায়নের মাধ্যমে এবারের এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শনিবার সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফল প্রকাশের পর একথা জানান তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের ফরমপূরণ বাবদ আদায় করা অর্থের কিছু অংশ তো আমাদের ব্যয় হয়েছে। কিন্তু যে অংশ ব্যয় হয়নি, সেই অব্যয়িত অংশ ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফল প্রকাশের পরপরই এ বিষয়ে বোর্ডগুলো তাদের স্ব-স্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেবে।’

১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। তার আগে এসএসসি পরীক্ষা হয়ে গেলেও আটকে যায় এইচএসসি পরীক্ষা। মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পরীক্ষা নেয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায় অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আইনে পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশের বিধান থাকায় তা সংশোধনের প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

সেই আইন সংশোধনের পর শনিবার ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ফল প্রকাশ করেন। মূল অনুষ্ঠানস্থলে থাকা শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে এইচএসসির ফলাফলের সারসংক্ষেপ গ্রহণ করেন।