বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস লিমিটেড সোনা চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েছে। ঢাকা কাস্টম হাউস এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর সংস্থাটির এয়ারলাইনস থেকে দফায় দফায় চোরাচালানের সোনা উদ্ধার করেছে।
সংস্থাটির কর্মীরাও আদালতে সোনা চোরাচালানে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গত শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) মাসকাট থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইট থেকে ৭ কেজি ২৯০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করে কাস্টমস। এর বাজারমূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।
গত বছরের ১১ জানুয়ারি শাহজালাল বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস থেকে ৪ কেজি ৬৪০ গ্রাম সোনা উদ্ধার করে কাস্টমস। সোনার বারগুলো কালো স্কচটেপ মোড়ানো অবস্থায় ছিল।
একই বছরের ৩১ জুলাই শাহজালাল বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার যাত্রী বহনকারী গাড়ির চালকের কাছ থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের ৩ কেজি ৭১২ গ্রাম সোনা উদ্ধার করে কাস্টমস।
২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর ১৭ লাখ টাকা মূল্যের তিনটি সোনার বারসহ আটক হন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের কাস্টমার সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট ওমর ফারুক। বিদেশ থেকে সোনার বারগুলো নিয়ে আসা মামুন মিয়া নামে এক যাত্রীকেও আটক করা হয়।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর প্রায় ১০ কেজি সোনাসহ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের কেবিন ক্রু রোকেয়া শেখ মৌসুমীকে গ্রেফতার করে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল প্রায় ৭ কোটি টাকা মূল্যের ১৪ কেজি সোনা জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা। প্রতিটি ১০ তোলা ওজনের মোট ১২০টি সোনার বার উদ্ধার হয়েছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা।
২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর শাহজালাল বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট থেকে ৪ কেজি ৬৪ গ্রাম সমান সোনার বার উদ্ধার করে ঢাকা কাস্টম হাউসের প্রিভেনটিভ টিম। যার বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট থেকে ৪ কেজি ৬৬৫ গ্রাম সমান সোনার বার উদ্ধার করে কাস্টমস। এয়ারলাইনসের (ফ্লাইট নম্বর বিএস২০২) থেকে ওই সোনা উদ্ধার করা হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।