আজ ২৪ জানুয়ারি। বাংলাদেশের নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের প্রধান মাইল ফলকের দিন। এদিন থেকে জনতার দ্রোহের আগুনে পুড়ে যেতে শুরু করেছিল পাকিস্তানি শোষকদের ক্ষমতার মসনদ। বাঙালি জাতির মুক্তির সনদখ্যাত ৬ দফা ও ছাত্র জনতার দেওয়া ১১ দফা কর্মসূচীর কারণেই এই অভুত্থান সংগঠিত হয়েছিল।

এই দিবসটি উপলক্ষে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহ নানা কর্মসূচীর আয়োজন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে শহীদ মতিউর স্মৃতিসৌধে (নবকুমার ইনস্টিটিউট, বকশীবাজার, ঢাকা) শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

৬০-এর আগুনঝড়া ২০ জানুয়ারি গণ-অভুত্থানের নায়ক আসাদ শহীদ হওয়ার পরে সমগ্র জাতি ২১, ২২ ও ২৩ তারিখ শোক পালন করেন। এরপর স্বতঃস্ফুর্তভাবে সবাই ২৪ জানুয়ারি নেমে আসেন রাজপথে। অধিকার আদায়ের এই জাগরণের কারণেই পতন হয়েছিল সামরিক শাসনের।

এই দিনে ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র কিশোর মতিউর এ রুস্তম পুলিশের গুলিতে শহীদ হন। সেদিন উত্তেজিত জনতা সচিবালয়ের দেয়াল ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়। তখন আইয়ুব গেটের নাম বদলিয়ে তারা রাখেন আসাদ গেইট। যা এখনও মিরপুর রোড দিয়ে মোহাম্মদপুর প্রবেশের ফটক।