শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বিাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেক হতে যাচ্ছে আজ। কিন্তু দেশটিতে বিরাজ করছে চরম জনস্বাস্থ্য, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংকট। এর আগে কোনো দিন এমন পরিস্থিতি দেখেনি দেশটির নাগরিকরা। সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী ভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ অনুষ্ঠান।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ তম প্রেসিডেন্ট হবেন জো বাইডেন। তবে বিভিন্ন প্রতিকুলতার কারণে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে হতে যাচ্ছে বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান ।
আমেরিকার ইতিহাসে এতোদিন শান্তিপূর্ণভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তর হলেও এবার তার উল্টো। নিয়মিত ভাবে নতুন প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানিয়ে বরণ করে নেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। কিন্তু নব্য প্রেসিডেন্ট বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকার ঘোষণা দিয়ে দেড়শ বছরেরও বেশি সময়ের ঐতিহ্যকে মারিয়ে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জো বাইডেনের শপথের দিন সকালে ওয়াশিংটন ডিসি ছেড়ে ফ্লোরিডা চলে যাবেন ট্রাম্প। সামরিক নিরাপত্তার ঘিরে বিদায় দেয়া হবে তাকে। সর্বশেষ ১৮৬৯ সালে ইউলিসেস গ্র্যান্টের শপথ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জ্যাকসন। তবে বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান দেখতে কংগ্রেস ভবনের ন্যাশনাল মলে সাধারণত লাখো মানুষের ভিড় হয়। জাঁকজমকপূর্ণভাবে দুপুরে খাবার পরিবেশন, অভিষেক বল এবং আকর্ষণীয় প্যারেডের মধ্য দিয়ে জমকালোভাবে বরণ করে নেয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের নব্য প্রেসিডেন্টকে। কিন্তু মহামারি করোনা ও রাজনৈতিক সংকটের কারণেভিন্নভাবে আয়োজন হবে বাইডেনে শপথ অনুষ্ঠান।
এ শপথ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে আমেরিকার বিভিন্ন স্থানে হামলার আশঙ্কায় জারি করা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা। ওয়াশিংটন ডিসিতে ২৫ হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের ক্যাপিটল ভবন এবং ডেমোক্র্যাট নেতাদের বাড়িতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এবং সরকারি স্থাপনাগুলোকে অস্থায়ী বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।